শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: দুষ্কৃতীদের ধরতে গিয়ে ফের আক্রান্ত পুলিশ। ইসলামপুরের পর জলপাইগুড়ি। মাঝরাতে সন্দেহভাজন গাড়ি আটকাতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। বরাতজোরে প্রাণে বাঁচেন জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্মীরা। কিছুদিন আগে একইভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চলেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে।
পুলিশ কর্মীদের দাবি, রাত সোয়া দুটো নাগাদ বৃষ্টি পড়ছিল। সেই গাড়িতে করে এসে সোনা ব্যবসায়ী সুরেন্দ্র শা বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিল ৫-৬ জনের সশস্ত্র দুষ্কৃতী। উদ্দেশ্য ডাকাতি। বাড়ির বাইরের গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে তারা। ঘটনাচক্রে সেই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় কোতোয়ালি থানার নৈশপ্রহরার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ভ্যান।
[আরও পড়ুন: নিখুঁত তথ্য, চোখা আক্রমণ আর শ্লেষের মিশেল, সুবক্তা অভিষেকের প্রতিষ্ঠা লোকসভায়!]
জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজার এলাকায় রাস্তার পাশে একটি সন্দেহজনক গাড়ি রাখা ছিল। তা দেখেই গাড়ির চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন টহল দেওয়া পুলিশ কর্মীরা। সেই সময় উলটো দিক থেকে দুষ্কৃতীরা এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দুষ্কৃতীরা বহিরাগত। রীতিমতো পরিকল্পনা করেই ডাকাতি করতে জড়ো হয়েছিল তারা। সোনা ব্যবসায়ী সুরেন্দ্র শা টার্গেট ছিল দুষ্কৃতীদের। তাঁর বাড়ির নিচে চারজন কুলি রাতে থাকতেন। তারা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকেই থানায় নিয়ে এসেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।