দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: রিষড়ায় ঠিক কী ঘটেছে? অশান্তির জেরে কত ক্ষতি হয়েছে? পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? এই সমস্ত প্রশ্নের সঠিক জবাব খুঁজতে রাজ্যে হাজির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। যদিও রিষড়ায় ঢোকার আগেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ বচসার পর কমিটির সদস্যদের কার্যত খালি হাতেই ফিরে যেতে হয়। যদিও তাঁদের দাবি, এভাবে বাধা দেওয়া যায় না। কাল বা পরশু ফের তাঁরা আসবেন। যদিও পুলিশের দাবি, রিষড়ায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় টিমকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূলও।
রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে পরপর দু’দিন উত্তপ্ত হয় রিষড়া। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির উসকানিতে অশান্তি বেঁধেছে। পালটা বিরোধী দলের দাবি, তৃণমূল দায়ী অশান্তির জন্য। অশান্তির পর থেকেই ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে ওই এলাকা। এর মধ্যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতে রাজ্য এসেছেন ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি অন হিউমান রাইটস ভায়োলেশনের’ সদস্যরা। এদিন রিষড়া ঢোকার আগেই শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি দিল্লি রোডে তাঁদের কনভয় আটকায় পুলিশ। তাদের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে। বহিরাগতরা ঢুকতে পারবেন না।
[আরও পড়ুন: ‘যাকে খুশি ভোট দিন’, পঞ্চায়েতে অবাধ নির্বাচনের ‘গ্যারান্টি’ অভিষেকের]
কমিটির সদস্য প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক রাজপাল সিংয়ের দাবি, এভাবে আটকানো বেআইনি। তাঁরা দল বেঁধে ঢুকতে চায়নি। এক একজন করে সদস্য় ঘটনাস্থলে ঢুকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। তাতেও আপত্তির অর্থ মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাঁর আরও দাবি, রাজ্য আতঙ্কে রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা পড়বে। পুলিশ যে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল সেটাও রিপোর্টে উঠে আসবে। তাই আমাদের আটকানো হচ্ছে। এদিকে এই দলকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, “এখানে কেন? মুঙ্গেরে যাক। এখানে বন্দুক নিয়ে নাচে আর মুঙ্গেরে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। এরা রাজনৈতিক পর্যটক। এলাকায় উসকানি দিতে আসছে। এদের ঢুকতে দেওয়া উচিত না।”