রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পুলিশের তৎপরতায় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Laxmi Bhandar) প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির পর্দাফাঁস। অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির হলুদবাড়ি অঞ্চলে ৫০০ টাকার বিনিময়ে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম বিক্রির অভিযোগ ওঠে। তবে পুলিশ তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ায় প্রতারিত হননি কেউই।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। ক্যাম্পে গেলে বিনামূল্যেই মিলছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ফর্মও। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকবে। সাধারণ বা জেনারেল (General) মহিলারা পাবেন ৫০০ টাকা। তফশিলি জাতি (SC) ও উপজাতি (ST) এবং আদিবাসী মহিলারা পাবেন প্রতি মাসে ১০০০ টাকা। রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলারা এই টাকা পাবেন। সরকারি চাকুরিরতা এবং পেনশন প্রাপকরা এই পরিষেবা পাবেন না। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার কথা।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মহেশতলায় সম্প্রীতি উড়ালপুল থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ল লরি]
তবে তারই আগে খেজুরির হলুদবাড়ি অঞ্চলে ঘটল গন্ডগোল। অভিযোগ, রবিবার রাতে ত্রিপল খাটানো ছোট্ট একটি ঘুপচির মধ্যে টর্চ জ্বালিয়ে চলছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম বিক্রি। ৫০০ টাকার বিনিময়ে এলাকার মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল ফর্ম। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফর্ম নেন বেশ কয়েকজন মহিলা। দুর্নীতি চক্রের কথা চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। বেআইনি কার্যকলাপের কথা কানে যায় পুলিশেরও। খবর পাওয়া মাত্রই খেজুরি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ৫০০ টাকার বিনিময়ে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম বিক্রি বন্ধ করে দেয়।
তবে এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক আকচাআকচি শুরু হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। অপরদিকে বিজেপির অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতেই এসব মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ আগস্ট শিলিগুড়ির শিউমঙ্গল মেমোরিয়াল হিন্দি হাইস্কুলের ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প পরিদর্শনে যান গৌতম দেব (Goutam Deb)। সেখানে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম ফিল আপের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে হাতেনাতে পাকড়াও করেন তিনি। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।