চন্দ্রজিৎ মজুমদার: আইনি বাধা না থাকা সত্ত্বেও পুলিশের বাধার মুখে পড়ল বিজেপির (BJP) ‘পরিবর্তন যাত্রা’। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)আটকানো হল রথ। সেখান থেকে নেমে হেঁটেই মিছিলে শামিল হলেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। শুক্রবার দুপুরে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন দলীয় কর্মীরা।পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।রথযাত্রা এগিয়ে যায় জিয়াগঞ্জের দিকে।
রাজ্যে বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’ (Parivartan Rally) নিয়ে আইনি জট ছিল। প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল জটিলতা। প্রাথমিকভাবে যেসব জেলার মধ্যে দিয়ে রথযাত্রা হওয়ার কথা, সেইসব জেলা প্রশাসনের অনুমোদনে ছাড়পত্র মিলতে পারে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC) নির্দিষ্ট রায় দেয়। ‘পরিবর্তন যাত্রা’ রুখতে হাই কোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেন বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’ শুরু হলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় তা বন্ধ করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন রমাপদ সরকার নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিচারপতি সাফ জানান, এটা কোনও জনস্বার্থ মামলা হতে পারে না। বরং এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনৈতিক সমস্যা মেটানোর জন্যই এটা মামলা আকারে পেশ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অমিত শাহের অনুষ্ঠানে ঢুকতে বাধা বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে, তুঙ্গে জল্পনা]
এরপরও শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’ আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর নাগাদ সাগরদিঘি-রঘুনাথপুর রাজ্য সড়কের মনিগ্রামের কাছে রথ পৌঁছলে, তা আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে রথ থেকে নেমে বিজেপি কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। যদিও পুলিশের দাবি, ‘পরিবর্তন যাত্রা’ আটকানো হয়নি। এদিন রাজ্যজুড়ে বামেদের ডাকে বাংলা বন্ধ চলায় বিজেপি নেতাদের রথ নিয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়। সময়মত রথযাত্রা হলে বাধার প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু তা দেরি হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থেই থেমে যেতে বলা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিজেপির রথযাত্রা এগিয়ে যায়।