রমেন দাস: ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা। যাদবপুর কাণ্ডে ১৪ জন পড়ুয়াকে থানা থেকে তলব করা হয়েছে। সেই ঘটনায় ফের পথে নেমেছে এসএফআই-সহ অন্যান্য বাম ও অতি বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। নতুন করে কেন পড়ুয়াদের ডাকা হল? সেই বিষয়ে সরব বিক্ষোভকারীরা। এছাড়াও গ্রেপ্তার হওয়া সৌম্যদীপ মোহন্তকে মুক্তির দাবি তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের পরে যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। রাস্তার একাংশ আটকে চলে বিক্ষোভ। রাস্তায় পোস্টার বিছিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় যাদবপুর থানার সামনে।

গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার সভা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিগ্রহের শিকার হন। এদিকে দুই ছাত্রও জখম হন। জখম ছাত্রকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত । সেখানে তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। গতকাল তিনি সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এদিকে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে অচলাবস্থা কাটেনি। একাধিক দাবিতে নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন বামপন্থী পড়ুয়ারা।
এই অবস্থায় জানা গিয়েছে, নতুন করে ১৪ জন পড়ুয়াকে পুলিশ তলব করেছে। আজ মঙ্গলবার ১৪ জনকে যাদবপুর থানায় ডাকা হয়েছে। তাঁরা থানায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি রয়েছেন। কেন ওই পড়ুয়াদের ডাকা হল? সেই প্রশ্ন তুলেই রাস্তায় নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। মিছিল করে যাদবপুর থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ চলে। অভিযোগ, যাঁদের ডাকা হয়েছে, তাঁদের অনেকেই ক্যাম্পাসে ছিলেন না। কেউ কেউ বাইরে ছিলেন। তাহলে কেন তাঁদের ডাকা হবে? ক্যাম্পাসে শিক্ষাবন্ধুর অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল সৌম্যদীপ মোহন্ত ওরফে উজানের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় একাধিক অভিযোগ তাঁর নামে রয়েছে। ওই পড়ুয়া এখন গ্রেপ্তার রয়েছেন। তাঁরও এদিন নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে জানা গিয়েছে, সৌম্যদীপ মোহন্তকে আজাদ কাশ্মীর পোস্টারের ঘটনায় সোন অ্যারেস্ট দেখাল যাদবপুর থানা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জামিন পেলেন তিনি।