রাজা দাস, বালুরঘাট: দলীয় ‘শাস্তি’ পাওয়ার পর এবার আইনি ধাক্কা দক্ষিণ দিনাজপুরের অপসারিত মহিলা তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর। দণ্ডি কাণ্ডের জেরে বৃহস্পতিবার তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে জেলা পুলিশ। ৭ দিনের মধ্যে বালুরঘাট (Balurghat) থানায় হাজিরা দিয়ে নিজের কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিতে হবে তাঁকে। বিষয়টি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এই মর্মেই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর। তবে বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় বেশি কিছু বলতে চাননি জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে। প্রদীপ্তা দেবীর প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যাওয়ার পর আবার তৃণমূলে ফেরার শাস্তিস্বরূপ বালুরঘাটের ৩ আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটানোর অভিযোগ উঠেছিল বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল তৃণমূলও। দলের পদ থেকে সরানো হয়েছিল প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর সফরে দণ্ডি কাটা আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শোনেন ঠিক কী ঘটেছিল তাঁদের সঙ্গে। এরপরই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘মন কি বাতে’ উত্তরপ্রদেশের থেকেও ভাল পারফরম্যান্স! বঙ্গ বিজেপির রিপোর্টে থ কেন্দ্রীয় নেতারাও]
এরপর বুধবার বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরানো হয় প্রদীপ্তাকে। আর বৃহস্পতিবার তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে থানায় তলব করল জেলা পুলিশ। এনিয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, ”এটা স্রেফ আইওয়াশ। পুলিশ যে তৃণমূলের কথা ছাড়া কিছু করে না, তা ফের প্রমাণিত হল। তবে শুধু নোটিস পাঠালেই হবে না, আমরা চাই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর গ্রেপ্তারি। এসসি, এসটি আইনের আওতায় তাঁর বিচার হোক।”