স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া: পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) যখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁর দেহরক্ষী ছিলেন কলকাতা পুলিশের এএসআই বিশ্বম্ভর মণ্ডল। রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ইডি (ED) গ্রেপ্তারের পর তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী বিশ্বম্ভরের বিরুদ্ধে পরিবারের একাধিক সদস্যকে শিক্ষা দপ্তরে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এই অভিযোগ ওঠার পরেই ওই দেহরক্ষী ইডি-র স্ক্যানারে চলে এসেছেন বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত হচ্ছে বলে পালটা অভিযোগ তুললেন বিশ্বম্ভর মণ্ডলের স্ত্রী রিনা মণ্ডল।
মঙ্গলবার হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের ৩১/১ ব্রজনাথ লাহিড়ি লেনের ফ্ল্যাটে বসে তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের পরিবারকে ফাঁসানো হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। পূর্ব মেদিনীপুরে আমাদের শ্বশুরের গ্রামের বাড়িতে যেহেতু সবাই তৃণমূল করে তাই বিজেপি (BJP) ও সিপিএম (CPM) চক্রান্ত করে আমাদের ফাঁসাচ্ছে।’’ এদিন রিনা আরও জানান, তিনি দেশের বাড়িতে অসুস্থ শাশুড়িকে দেখতে বছরে একবার যান। বাকি সময় তিনি স্বামীর সঙ্গে হাওড়াতেই থাকেন।
[আরও পড়ুন: দলের মধ্যেই বিরোধিতা! উলুবেড়িয়ায় ফের কর্মসূচি বাতিল করলেন শুভেন্দু]
রিনা বলেন, ‘‘আমার স্বামী কোনও অযোগ্য ব্যক্তিকে চাকরি করে দেয়নি। যোগ্য লোকেরাই চাকরি পেয়েছে। এভাবে আমাদের সম্মানহানি করার পরিণতি কী হতে পারে তা কেউ ভেবে দেখেছে কী? আমার স্বামীকে অফিস থেকে পার্থবাবুর নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে ডিউটি দেওয়া হয়েছিল। এতে তাঁর তো কিছু করার নেই। গত ১০ বছরে চাকরি নিয়ে একবারও কোনও অভিযোগ উঠল না এখন কেন উঠছে? এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কী?’’
[আরও পড়ুন: ‘দিল্লিতে বসে থেকে লাভ নেই, এলাকায় সময় দিন’, শাহ-নাড্ডাদের নিদান বঙ্গ বিজেপি নেতাদের]
এদিন বিকেলে রিনা দেবী যখন কথাগুলি বলছেন তখন তাঁর স্বামী বিশ্বম্ভর কলকাতা পুলিশের ডিউটিতে গিয়েছেন। মঙ্গলবারই বিশ্বম্ভরবাবুকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে রটে যায়। আর তাই এদিন বিকাল থেকে ওই দেহরক্ষীর হাওড়ার ফ্ল্যাটের নিচে সংবাদমাধ্যমের ভিড় জমে যায়। হাওড়ার যে ফ্ল্যাটে গত ৯ বছর সস্ত্রীক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওই দেহরক্ষী রয়েছেন সেই ফ্ল্যাটটি কোনা এক্সপ্রেস সংলগ্ন আইটিআই হাওড়া হোমসের কাছে একটি বহুতল আবাসনে। দোতলার প্রায় ৮০০ বর্গফুটের সাজানো ফ্ল্যাটে বিশ্বম্ভর ও তাঁর স্ত্রী থাকেন। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তেমন একটা মেলামেশা তাঁরা করেন না। তাই অনেকেই তাঁদের পাড়ায় সেভাবে চেনেন না। রিনা পেশায় স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষিকা।