অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: ২০০০ সালে পাহাড়ে শেষবার হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। ২০০৫ সালে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। ২০১১ সালে জিটিএ গঠন হয়। তারপর থেকে বারবার অশান্ত হয়েছে পাহাড়। তবে হয়নি পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এবার পঞ্চায়েত ভোটের দাবিতে সরব দার্জিলিংয়ে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
রাজ্যে ফের বেজেছে ভোটের দামামা। চলতি মাসের শেষেই ভবানীপুরে উপনির্বাচনে (Bhabanipur By-Election)। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ত্রিমুখী লড়াইয়ে সিপিএমের তরফে এই কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন শ্রীজীব বিশ্বাস। গেরুয়া শিবির থেকে মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tibrewal)। ভবানীপুরের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে শহরে ভোটের উত্তাপ। এছাড়া ওই একইদিনে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর (Jangipur) এবং সামসেরগঞ্জে (Samserganj) নির্বাচন। এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ফের নির্বাচন। সেখানেও ইতিমধ্যে প্রচারের কাজে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষ।
[আরও পড়ুন: ২২ ঘণ্টা পরও গার্ডেনরিচের গুদামে ধিকিধিকি জ্বলছে আগুন, পকেট ফায়ার নেভাতে তৎপর দমকল]
এই প্রেক্ষাপটে এবার পাহাড়ে (Darjeeling) পঞ্চায়েত ভোটের দাবি উঠেছে। সদ্যই বিমল গুরুং (Bimal Gurung) এবং বিনয় তামাংকে (Binay Tamang) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সদ্যই নতুন দল গড়েছেন অনীত থাপা। নতুন দলের নাম ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। শনিবারই কার্শিয়াংয়ের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন দলের পতাকা লাগানো হয়। নতুন দল গড়ার পরই পঞ্চায়েত দাবিতে সরব অনীত থাপা। তাঁর দাবি, জিটিএ নির্বাচনের পাশাপাশি সমস্ত ভোটই হওয়া প্রয়োজন।
বিমল গুরুংয়ের গলাতেও একই সুর। তাঁর মতে, বছরের পর বছর ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচন না হওয়ার ফল ভুগতে হচ্ছে পাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের। সিপিএম নেতৃত্বও চায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক। রাজ্য সরকারের যদিও দার্জিলিংয়ে পঞ্চায়েত ভোট করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে বলেই জানান জেলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রীর (Shanta Chhetri)।