সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান নিয়ে জেরবার আমেরিকা। ভারত-সহ বিশ্বের বাকি দেশগুলিও তাকিয়ে তালিবানের গতিবিধির দিকে। পশ্চিমের দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার বিবাদ তুঙ্গে। এই সুযোগে তাইওয়ানের (Taiwan) উপর লাগাতার চাপ বাড়াচ্ছে চিন। এবার বেজিংয়ের হুঁশিয়ারি, তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে যে সমস্ত রাজনীতিবিদ কথা বলবেন তাঁদের অপরাধী তকমা দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: এখনই অস্ত্র সম্বরণ নয়, ইমরানের উদ্বেগ বাড়িয়ে কড়া বার্তা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের]
বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন । তবে বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। শুক্রবার সেই আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে এক বিবৃতি জারি করে চিনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, স্বশাসিত অঞ্চলটির যে সমস্ত রাজনীতিবিদ তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলবেন তাঁদের অপরাধী তকমা দেওয়া হবে। তাঁদের কোনওদিন চিনের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সেখানে তাঁদের কোনও ব্যবসাও করতে দেওয়া হবে না।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তাইওয়ানের প্রিমিয়ার সু সেং-চ্যাং, বিদেশমন্ত্রী জোসেফ উও ও স্পিকার ইইউ সি-কুনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চিন। ফলে তাঁরা চিনের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাঁদের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকেও মূল ভূখণ্ডে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকা (America) জেরবার। ভারত, রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলি আপাতত তালিবানের গতিবিধি নিয়ে ব্যস্ত। এটাই তাইওয়ানের উপর চাপ তৈরির মোক্ষম সুযোগ। কারণ মার্কিন মদত ছাড়া লালফৌজের সামনে তাইওয়ান দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু সদ্য আফগানিস্তানে ২০ বছরের লড়াই শেষ করে চিনের মতো শক্তির সঙ্গে সংঘাতে নামতে চাইবে না ওয়াশিংটন। তাই এই সুযোগে তাইওয়ান দখল করার চেষ্টা চালাতে পারে বেজিং।