সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরে দেশের ৯ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার মধ্যে বিজেপির জন্য বড় গাঁট হতে পারে কর্ণাটক (Karnataka)। যদিও সেখানে ক্ষমতায় গেরুয়া শিবির। কিন্তু দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে জেরবার বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) সরকার। এই অবস্থায় কর্ণাটকের প্রতি দরাজ হস্ত কেন্দ্র। বুধবারের বাজেটে কর্ণাটকের জন্য ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। যদিও বাংলায় বরাদ্দ কার্যত শূন্য।
আপার ভদ্রা প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। যা কর্ণাটকের খরাপ্রবণ এলাকায় জলের অভাব পূরণ করবে। থাঙ্গা নদীর ১৭.৪০ হাজার কিউবিক ফিট জল পাঠান হবে ভদ্রা জল সংরক্ষণ কেন্দ্রে রিজার্ভারে। সেখান থেকে তা পৌঁছে যাবে ঘরে ঘরে এবং চাষের কাজে। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের দাবি ছিলই। সেই দাবি পূরণ করল নির্মলার বাজেট। বরাদ্দ হল ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। প্রশ্ন উঠছে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের দাবি রয়েছে। সেগুলিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেখানে বরাদ্দ না করে, কেন কর্ণাটকের জন্য বিরাট অঙ্কের অর্থিক ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর?
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাজেটে ‘রাজনীতি’ আনলেন নির্মলা, হেসে উঠল গোটা সংসদ]
বিরোধীদের বক্তব্য, ভোট বড় বালাই। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের সম্ভাবনা প্রবল। পারফরম্যান্সে পিছিয়ে রাজ্য সরকার। ব্যাপক হারে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, খোদ মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ৪০ শতাংশ কমিশনে চাকরি বিক্রি করেছেন। এই অবস্থায় রাজ্যবাসীকে সন্তুষ্ট করতে আপার ভদ্রা প্রজেক্টে ৫ হাজার ৩০০ কোটির বরাদ্দ।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ভয়াবহ তুষারধসে মৃত্যু দুই বিদেশি পর্যটকের, বরফের তলায় আটকে বহু]
ভোটমুখী কর্ণাটকে বিরাট বরাদ্দ হলেও নির্মলার বাজেটে রাজ্যের জন্য তেমন কিছু নেই। কেন্দ্রীয় বাজেটে (Union Budget) দূষণমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য বাড়ানোর জন্য ‘মিষ্টি’ প্রকল্পের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। উপকূল অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ চাষে উৎসাহ দেবে এই প্রকল্প। এর ফলে কিছুটা উপকৃত হতে পারে রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তথা সুন্দরবন অঞ্চল। এর বাইরে দেশজুড়ে ১৫৭টি নার্সিং কলেজের কথা ঘোষণা করেছেন নির্মলা। তার কয়েকটি পশ্চিমবঙ্গে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে কার্যত কেন্দ্রীয় বাজেটে রাজ্যে জন্য বরাদ্দ শূন্য!