shono
Advertisement

নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের নেপথ্যে ওয়েবসাইটের দুর্বলতা, দাবি বাংলাদেশের ২ মন্ত্রীর

সরকারি একটি সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে বলে অভিযোগ।
Posted: 02:57 PM Jul 09, 2023Updated: 03:25 PM Jul 09, 2023

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের লাখো লাখো মানুষের তথ্য ফাঁসের দায় ওয়েবসাইটেরই (Website)। তাদের দুর্বলতার কারণে তথ্য ফাঁস হয়েছে বলেই দায় চাপালেন বাংলাদেশের (Bangladesh) তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনেইদ আহমেদ। অপরদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের দাবি, নাগরিক তথ্য ফাঁসের সঙ্গে যদি কেউ জড়িত থাকে বা সহায়তা করে, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রবিবার ঢাকায় পৃথক দুই অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

Advertisement

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ বলেন, সরকারি একটি সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে ‘লাখ লাখ’ মানুষের তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি ঘটেছে কারিগরি দুর্বলতায়। কেউ ওয়েবসাইটটি হ্যাক করেনি। ওয়েবসাইটটি নিজে থেকেই ভঙ্গুর ছিল, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি, কারিগরি ত্রুটি ছিল। যে কারণে তথ্যগুলো মানুষের কাছে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।’’

[আরও পড়ুন: এনসিপির আসল প্রধান কে? পওয়ারের পক্ষেই ভোট জনতার, সমীক্ষায় পিছিয়ে অজিত]

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নাগরিক তথ্য ফাঁসের সঙ্গে যদি কেউ জড়িত থাকে বা সহায়তা করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করার মতো কোনও উপাদান এখনও হাতে পায়নি। আমাদের সাইবার ইউনিট এ বিষয়ে কাজ করছে। আগে দেখতে হবে কী ফাঁস হয়েছে। সেগুলি বের করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।’’ রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সভাকক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

[আরও পড়ুন: ‘বাহিনী ব্যবহার হয়নি বলেই এত খুন’, দিলীপের নিশানায় কমিশন, পালটা দিলেন কুণাল]

তথ্য ফাঁসের বিষয়ে জুনাইদ বলেন, ওয়েবসাইটটির নিজস্ব দুর্বলতার কারণে যে কেউ এই ব্যক্তিগত উপাত্ত দেখার সুযোগ পেয়ে যান। তিনি ওয়েবসাইটটির নাম বলেননি। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ ৭ জুলাই এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে একটি সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে। কোন ওয়েবসাইট, তা নিরাপত্তার জন্য তারা প্রকাশ করেনি। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রকল্প বিজিডি ই-গভ সার্ট বিষয়টি নিয়ে গতকাল শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের (Hack)খবর নজরে আসার পর এ বিষয়ে কাজ শুরু করে সার্চ টিম। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement