সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই সমুদ্রের পাড়ে হাঁটতে হাঁটতে কোটি টাকার ‘তিমির বমি’ কুড়িয়ে পেয়েছিলেন থাইল্যান্ডের (Thailand) এক মহিলা। এক মুহূর্তেই কোটিপতি হয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনাটি সামনে আসতে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। কিন্তু থাইল্যান্ডে আরও একবার সেরকমই একটি ঘটনা ঘটল। যেখানে মাত্র ৭০ ভাট বা ভারতীয় মুদ্রায় ১৬৩ টাকার খাবার কিনে, সেই খাবারের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার মুক্তো পেলেন এক গরিব মহিলা।
হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের সাতুন প্রদেশের কোদচাকর্ন তান্তিইউওয়াটকুল নামে ওই মহিলা ৭০ ভাট দিয়ে খাওয়ার জন্য সামুদ্রিক শামুক কিনেছিলেন। বাড়িতে এসে সেটি টুকরো করার পরই সেটির ভিতরে কমলা রংয়ের একটি জিনিস দেখতে পান। প্রথমে পাথর মনে হলেও, পরবর্তীতে বুঝতে পারেন সেটি আসলে মুক্তো। তাও আবার যে সে নয়, দামি মেলো পার্ল। জানা গিয়েছে, ১.৫ সেন্টিমিটার ব্যাসের ওই মুক্তোর ওজন ৬ গ্রাম। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে যার দাম প্রায় ৩ কোটি টাকা। প্রথমে ওই মহিলা এবং তাঁর পরিবার গোটা বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন। কারণ তাঁরা ভেবেছিলেন, জানতে পারলে যে দোকানী ওই খাবার বিক্রি করেছেন, তিনি হয়তো সেটি ফেরত চাইবেন। তবে পরবর্তীতে তাঁরা সেটি বিক্রি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন।
[আরও পড়ুন: পরমাণু বোমা ফেটেই লাল মঙ্গল! আজগুবি দাবি ঘিরে হাসির রোল নেটবিশ্বে]
কিন্তু এই টাকা দিয়ে তাঁরা কী করবেন? এই প্রসঙ্গে কোদচাকর্নের বাবা নিওয়াত জানান, এই মুহূর্তে তাঁদের প্রায় ভারতীয় মুদ্রায় ২৩.৩৪ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কারণ তাঁর স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত। আর তাঁর চিকিৎসার জন্যই ওই মুক্তোটি তাঁরা বিক্রি করবেন। আপাতত কারোওর ওই ‘মেলো পার্ল’টি কেনার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। তাহলেই সেই টাকা দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করা হবে। এদিকে, এই খবর প্রকাশ্যে আসতে অনেকেই কিন্তু অবাক হয়েছেন। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।