সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ রোগ নোভেল করোনা ভাইরাসের কবলে কি পোপ ফ্রান্সিসও? দিন কয়েক ধরে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি, গতিবিধি এই জল্পনা আরও দৃঢ় করে তুলছে। অনেকেই তাঁকে অবিরাম হাঁচতে, কাশতে দেখছেন। সেইসঙ্গে তিনি মুখ ঢেকে রাখছেন সার্জিক্যাল মাস্ক দিয়ে। বেশ কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণও বাতিল করা হয়েছে পোপের কার্যালয় সূত্রে।
এই মুহূর্তে ইটালি-সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে। ইটালি লাগোয়া ভ্যাটিকানে বসবাসকারী পোপ ফ্রান্সিসের শরীরেও তা বাসা বেঁধেছে কি না, সেই আশঙ্কা করা অমূলক নয় মোটেও। যদিও তাঁর মুখপাত্র মাত্তেও ব্রুনি এসব জল্পনা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: শান্তিচুক্তি হলেও তালিবান বন্দিদের মুক্তি নিয়ে জট, ইঙ্গিত আফগান প্রেসিডেন্টের কথায়]
রবিবার রোমের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল পোপ ফ্রান্সিসের। সঙ্গে ভ্যাটিকানের গণ্যমান্যদেরও থাকার কথা। কিন্তু আচমকা প্রায় শেষ মুহূর্তে সেই সফর বাতিল করে দেওয়া হয়। ওই দিন বিকেলে সেন্ট পিটার্স স্কোয়্যারে ক্যাথলিকদের বিশেষ ধর্মীয় আচার উপলক্ষে জমায়েত হওয়া হাজার জনের সমাবেশে অসুস্থ পোপকে দেখা যায়। কথা বলতে বলতেও বারবার কেশে উঠছিলেন ৮৩ বছর বয়সী পোপ। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি ঘোষণা করেন দেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমি ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে গিয়েছি। এবার আর এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছি না। আমি বাড়ি থেকেই সমস্ত নিয়মাবলি পালন করব। আপনাদের সঙ্গে থাকব।” ১৯৫০ সালের পর এই প্রথম ক্যাথলিকদের ওই বিশেষ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিলেন না কোনও পোপ।
সূত্রের খবর, পোপ ফ্রান্সিসের ফুসফুসের একটি অংশ বাদ পড়েছিল মাত্র ২০ বছর বয়সেই। যখন তিনি বুয়েনস আয়ার্সের বাসিন্দা ছিলেন। এখন, তিরাশিতে পৌঁছে সেই সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। পায়ে সাইটিকার ব্যথা হওয়ায় তাঁকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপির মধ্যেও থাকতে হয়। সিঁড়ি ভাঙা নিষেধ। প্রথমদিকে মনে করা হচ্ছিল, এসব শারীরিক সমস্যার জেরে তিনি অসুস্থ হয়েছেন। ভ্যাটিকান সূত্রেও তেমনই খবর ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে দেখা যায়, তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, একের পর এক ভাষণ বাতিল করতে হচ্ছে। কারণ, ভাষণ দেওয়ার মতো অবস্থায় পোপ নেই। আপাতত ভ্যাটিকানের সান্তা মার্তা গেস্টহাউসে তিনি রয়েছেন। নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে। আর সেটাই আরও আশঙ্কা তৈরি করছে।
[আরও পড়ুন: অধরাই ইতিহাস! আজিজাহর বদলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন মুহিউদ্দিন]
ক্যাথলিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, পোপের এই ভাষণ বাতিল নিয়ে। এমনিতে তিনি ছকভাঙা। যার জন্য জনপ্রিয়ও বটে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পোপ নিজের কাজকর্ম কীভাবে ব্যক্তিগত স্তরে চালিয়ে যাবেন, তা নিয়েও চলছে আলোচনা। তবে অনুরাগীদের প্রার্থনা, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন পোপ।
The post করোনা আক্রান্ত পোপ ফ্রান্সিসও! পরপর ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাতিলে জোরদার জল্পনা appeared first on Sangbad Pratidin.