শুভঙ্কর বসু: ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) যে প্রতিনিধিদল কাজ করেছে রাজ্যে, তার অধিকাংশ সদস্যই বিজেপি ঘনিষ্ঠ। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের পেশ করা হলফনামায় এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হল। রাজ্যের তরফে সোমবার অ্যাডভোকেট জেনারেল এই রিপোর্ট পেশ করেছেন। তাতে বক্তব্য, ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিতে বেছে বেছে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের উপর ভার দেওয়া হয়েছিল। সেই যোগসাজশ ইতিমধ্যেই প্রমাণিত বলে দাবি রাজ্যের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের (WB Assembly Polls 2021) ফলপ্রকাশের পর থেকে একাধিক রাজনৈতিক অশান্তির (Post Poll Violence) ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। তাঁদের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা চলছে। তাতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট হাতে নিয়ে রাজ্যকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয় ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। রাজ্যের আরজি ছিল, প্রতিটি অশান্তির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করা হোক। সেই আবেদনও খারিজ হয়। ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ জানায়, রাজ্যের বক্তব্য হলফনামা আকারে পেশ করতে।
[আরও পড়ুন: মহাধমনির গায়ে জমাট রক্ত! নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রোগীকে বাঁচাল NRS]
সোমবার তা পেশ করেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের যুক্তি, মানবাধিকার কমিশন একটি নিরপেক্ষ সংস্থা। কিন্তু বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল কমিশনকে ব্যবহার করেছে। রাজ্যের হলফানামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ মে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যদিও এই দাবি আগেও বারবার জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বেশিরভাগ হিংসার ঘটনাই ভোট পূর্ববর্তী সময়ের। এবার হলফামা আকারেও সেই একই বক্তব্য হাই কোর্টে জানানো হল রাজ্যের তরফে।