অভিরূপ দাস: মেয়রের পদত্যাগ চেয়ে পোস্টার পড়ল খোদ কলকাতা পুরসভায়। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার অন্দরে মেয়রের পদত্যাগ চেয়ে পোস্টার দিয়েছে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন। এ পোস্টারে মূলত তিনটি দাবি করা হয়েছে। পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে, ১০০ দিনের কর্মচারীদের মজুরি বাড়াতে হবে ও দিতে হবে ন্যায্য হারে ডিএ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্পাদক মানস সিনহা জানিয়েছেন, “বিধায়কদের ৪০ হাজার টাকা করে মাইনে বেড়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবি মেটাতে অক্ষম। এই নৈতিকতার প্রশ্নে মাননীয় মেয়রের পদত্যাগ চাইছি। রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ডিএ দিতে গররাজি নন মেয়র। মাসখানেক আগেই তিনি বলেছিলেন, দাবি অনুযায়ী ওই হারে ডিএ দিতে গেলে রাজ্য সরকারের ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। যদি আমাদের রোজগার বাড়ে নিশ্চিতভাবে যাঁরা ডিএ চাইছেন তাঁদের পাশে দাঁড়াব। তবে এই কথা মানতে নারাজ কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন। এদিকে ডিএ নিয়ে আতঙ্কিত বাংলার দরিদ্র মানুষ।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা, দুর্ভোগ নিত্যযাত্রীদের]
মাসখানেক আগেই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে ফোন আসে। দরিদ্র বৃদ্ধ অনুরোধ করেন, ‘‘ডিএ না দিয়ে আমাদের বার্ধক্য ভাতা দিন।’’ মেয়র ফিরহাদ হাকিম সে সময় বলেছিলেন, ‘‘সরকারি চাকরি করেন হাতেগোনা। অধিকাংশ মানুষ বেসরকারি চাকরি করেন। রাজ্যের অনেকেই ছোটখাট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাদের একটা ভয় আছে। ডিএ দিতে গেলে হয়তো তাদের ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।’’ মেয়রের কথায়, গরিব মানুষরা আতঙ্কিত। তাঁরা ভাবছেন ডিএ দিতে গেলে বোধহয় সামাজিক প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। মেয়র পুরসভায় বলেছেন, ‘‘যাঁরা ৫০ হাজার টাকা মাইনে পান তাঁকে ৭০ হাজার টাকা দিতে পারলে আনন্দিত হব। কিন্তু যাঁরা সামান্য পাঁচশো টাকা পান তাঁদেরকে বঞ্চিত করতে পারব না।’’