বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরই জেড ক্যাটাগরি (Z Category)নিরাপত্তা পেয়েছেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য (Arindam Bhattacharya)। কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। রাজনৈতিক শিবির বদলের পর থেকেই তিনি খুনের হুমকি পাচ্ছেন। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, ৭ দিনের মধ্যে শান্তিপুর না ছাড়লে তাঁকে খুন করা হবে বলে বারবার হুমকি পোস্টার পড়েছে। বিষয়টিতে সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন শান্তিপুরের বিধায়ক। অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে দলবদলের আবহে জানুয়ারির ২০ তারিখ তৃণমূল ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে (BJP) যোগদান করেছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। ওইদিন দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন শান্তিপুরের বিধায়ক। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। দলত্যাগের কারণ হিসেবে অরিন্দমের দাবি, “রাজ্যে যুবকদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। শিল্প নেই, কর্মসংস্থান নেই। বারবার পরামর্শ দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আজ বাংলায় কাজ না পেয়ে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে রাজ্যের যুবকদের। রাজ্যে কাজ হচ্ছে না, শুধু রাজনীতি আর ব্যক্তিগত কুৎসা হচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন সফল করতে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি।” যুব কংগ্রেসের একসময়কার সভাপতি, তরুণ নেতা ২০১৬ সালে শান্তিপুর থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর যোগ দেন তৃণমূলে। এবার আরেক নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের শিবির বদল করলেন।
[আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষিত হওয়ার অদম্য ইচ্ছা, ‘রূপশ্রী’র আবেদনে না ছাত্রীর]
এর আগে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলও একই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হন। গত নভেম্বরে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদানের পর খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন সাংসদ। তারপরই তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। সম্প্রতি রাজ্যের যে ক’জন হেভিওয়েট নেতা গেরুয়া শিবিরে পা রেখেছেন, তাঁদের সকলকেই যোগদানের পরপরই জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও খুনের হুমকির মুখে পড়লেন শান্তিপুরের তরুণ নেতা অরিন্দম ভট্টাচার্য। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।শান্তিপুর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক অজয় দে’র পালটা দাবি,”বিজেপি নিজেরাই এইসব করে সংবাদের শিরোনামে আসতে চাইছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নামে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে ।”