সুমন করাতি, হুগলি: গত কয়েক দিন ধরে আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। দিন কয়েক আগে ২০ টাকা কিলো ছিল যে আলু, এখন সেই আলুই বিকোচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ টাকা প্রতি কেজি। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, কয়েক দিনের মধ্যে আলুর দাম ছোঁবে ৩০ টাকা। কিন্তু কেন?
রাজ্যে আলু উৎপাদনে হুগলি জেলা এগিয়ে থাকে। এবারও আলু চাষ হয়েছিল ৮৮ হাজার হেক্টর জমিতে। অসময়ে বৃষ্টির ফলে চাষ মার খেয়েছিল। উৎপাদনও কমে। গতবার যেখানে ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদন হয় এবার সেটা হয়েছে মাত্র ২৭ লক্ষ মেট্রিক টন। বাংলায় এবার প্রায় তিন লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন কম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কমবে না দহনজ্বালা, দ্বিতীয় দফার ভোটেও তাপপ্রবাহ রাজ্যে, সতর্কতা জারি কমিশনের]
রাজ্য প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীর সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানান,"রাজ্যে ৮০ থেকে ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। তার মধ্যে ৬৩ লক্ষ মেট্রিক টন আলু হিমঘরে মজুত করা হয়েছে। চাষিরা আলু তোলার পর ভালো দাম পেয়েছেন। গড়ে ১৫ টাকা কিলো হিসেবে বিক্রি করে চাষিরা। হিমঘর ভাড়া, বাছাই, কাটপিস বাদ, বস্তার দাম, গাড়ি ভাড়া ধরে কিলো প্রতি সাড়ে সাত টাকা খরচ হিসাবে সেই আলুর দাম ২৩ থেকে ২৪ টাকা কিলোয় দাঁড়ায়।" তিনি আরও বলেন, "এতদিন চাষির ঘরে মজুত থাকা বা খোলা বাজারে থাকা আলু বিক্রি হচ্ছিল ২০ টাকা কিলো দরে। হিমঘর খুলতেই সেই আলু দাম এক লাফে অনেকটা বেড়েছে।"
ভিনরাজ্য, বিশেষত উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব থেকে প্রতিবার খাওয়ার আলু ঢোকে এই রাজ্যে। তাই চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি হয়ে যায়। দাম কম থাকে। এবার ভিন রাজ্যও আলু উৎপাদন কম। এবার যদি বাংলার আলু বাইরের রাজ্যে যেতে থাকে তাহলে দাম কোথায় যাবে, তা এখনই বলতে পারছন না ব্যবসায়ীরা। তবে কিছুদিনের মধ্যে আলুর দাম ৩০ টাকা ছুঁতে চলেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরো আলু বিক্রেতারা বলছেন, আলুর দাম বাড়লে বিক্রি কম হয়। ফলে তাদের অসুবিধা হয়। চাষিদের মতে, ফোড়েরা মুনাফা করে। কিন্তু চাষি দাম পায় না।