সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবিধানিক রীতিনীতির তোয়াক্কা না করেই নেপালের নির্বাচিত সংসদ ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। নিজেকে দেশের সর্বশক্তিমান ব্যক্তি বানানোর জন্য সবরকম নোংরা রাজনীতির সাহায্য নিচ্ছেন। এই অভিযোগ তুলে দেশব্যাপী আন্দোলনে নেমেছেন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির একাংশের নেতা-কর্মী। আর তাঁদের এই বিক্ষোভকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারম্যান পুষ্পকুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড (Prachanda)।
শনিবার কাঠমাণ্ডুতে আয়োজিত সরকারবিরোধী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রচণ্ড বলেন, বহুকষ্টে নেপালে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, নিজের স্বার্থে সংসদ ভেঙে দিয়ে সেই পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (K P Sharma Oli)। দেশের মধ্যে তাঁর মতো বিপজ্জনক ব্যক্তি কেউ নেই। গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে তিনি একটা হুমকি। দলের পাশাপাশি ওলির জন্য দেশের ভাবমূর্তিরও প্রচণ্ড ক্ষতি হচ্ছে। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির বিভিন্ন প্রবীণ নেতারা বারবার তাঁকে বুঝিয়ে সঠিক পথে আনার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। শেষমেষ নিজেকে সর্বশক্তিমান বানানোর জন্য তিনি নির্বাচিত জাতীয় সংসদকেও ভেঙে দিয়েছেন। এখন মাওবাদীদের রাজনীতির মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াকেও ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন। তাই বাধ্য হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ।
[আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নয়া করোনা স্ট্রেন সম্ভবত অনেক বেশি প্রাণঘাতী, আশঙ্কা বরিস জনসনের]
প্রচণ্ডের সুরে সুর মিলিয়ে কেপি শর্মা ওলির তীব্র সমালোচনা করতে শোনা যায় আরেক প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালও। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, নেপালের সংবিধান প্রধানমন্ত্রীকে সংসদ বাতিল করার কোনও অধিকার দেয়নি। তা সত্ত্বে বেআইনিভাবে এই কাজ করেছেন কেপি শর্মা ওলি। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছে। প্রকাশ্যেই ঘোষণা করছি যে নেপালের হিটলার ওলির সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনও জোট বাঁধবে না প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন নেপাল কমিউনিস্ট পাটির সদস্যরা।