বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: কারাট দম্পতির ডানা ছাঁটল সিপিএম (CPM)। আগে সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট (Prakash Karat)। এবার তাঁর সঙ্গে সংগঠন দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হল কেরলের আরেক হেভিওয়েট নেতা বিজয়রাঘবনকেও। পার্টি কংগ্রেসের পর শনিবার ছিল সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম বৈঠক। দু’দিনের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও প্রথম দিনেই তা শেষ করে দেওয়া হয়। সেনা নিয়োগে ‘অগ্নিপথ’ (Agnipath) প্রকল্প ঘোষণা হতেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। বিপর্যস্ত রেলপথ। তার উপর করোনার বাড়বাড়ন্ত। তাই বৈঠক হয় অনলাইনে।
[আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে পড়ে পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোপন তথ্য পাচার! ধৃত ডিআরডিও ইঞ্জিনিয়ার]
সীতারাম ইয়েচুরি তৃতীয়বারের জন্য সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেও সংগঠনে গুরুদায়িত্ব পালন করতেন প্রকাশ কারাট। আবার পিছিয়ে পড়া জনজাতির দায়িত্বে ছিলেন প্রকাশজায়া বৃন্দা। তাঁরও ডানা ছেঁটে দিলেন ইয়েচুরিরা। বৃন্দার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হলে বাংলা থেকে পলিটব্যুরোতে এবারই প্রথম জায়গা পাওয়া রামচন্দ্র ডোমকে (Ramchandra Dom)। সেইসঙ্গে পার্টির মেডিক্যাল সেলের দায়িত্বও রামচন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে বলে এ কে গোপালন ভবন সূত্রে খবর। আগে আন্দোলন গড়ে তোলার দায়িত্ব ছিল কৃষকনেতা হান্নান মোল্লার উপর। তিনি পলিটব্যুরো থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরেক কৃষক নেতা মহারাষ্ট্রের অশোক ধাওয়ালেকে।
অন্যদিকে, পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। বাংলার এক প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে কেন পার্টি দিল্লিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকা বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল, ইয়েচুরি তার ব্যাখ্যা দেন। কংগ্রেসের মতো বিজেপি বিরোধী দল যখন প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন পার্টির প্রতিনিধিত্ব না থাকলে বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠত। যেমন বিধানসভা ভোটে বাংলায় পার্টির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। ২১ জুন মুম্বইতে বৈঠক হলে ইয়েচুরি নিজে হাজির থাকবেন। বৈঠকে তিনি এমনই জানিয়েছেন।