সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরাসরি রাজনীতির ময়দানে পা রাখার আগে তিনি স্বচ্ছ্বতার কথা বলতেন। বদ্ধমূল আদর্শের উর্ধ্বে উঠে জনসেবার কথা বলতেন। সেই প্রশান্ত কিশোর রাজনীতির ময়দানে নামতেই তাঁর প্রধান এজেন্ডা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিহারে ফের মদ বিক্রি চালু করা। প্রায় প্রতিটি জনসভায় গিয়ে পিকে বলছেন, ক্ষমতায় এলেই তাঁর দল 'জন সূরজ' বিহারে ফের মদ বিক্রি চালু করবে। শনিবার এক সভা থেকেও সেই একই দাবি করলেন পিকে।
জন সূরজের প্রতিষ্ঠাতা বলছেন, 'সরকার গঠনের এক ঘণ্টার মধ্যে বিহারে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেব।' পিকের সাফ কথা, এই শরাববন্দি আসলে নীতীশ কুমারের ভাঁওতা। এতে কারও লাভ হয় না। বরং বেআইনিভাবে রাজ্যে মদ প্রবেশ করে। আর তাতে রাজ্য সরকারের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্বের লোকসান হয়। পিকের কথায়, তিনি যোগ্যতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। তাই মদে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করতে তাঁর ভয়ের কিছু নেই।
মদে নিষেধাজ্ঞা জারির নামে নীতীশের দল গান্ধীজিকে নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে বলেও এর আগে বহুবার অভিযোগ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। পিকের বক্তব্য, "নীতীশ কুমার এবং তাঁর অনুগামীরা বলেন, গান্ধীজি নাকি মদ নিষিদ্ধ করর কথা বলতেন। আমি দু’বছর ধরে বলে আসছি, যদি কেউ দেখাতে পারেন যে গান্ধীজি বলেছেন সরকার আইন করে মদ নিষিদ্ধ করুক, আমি নীতীশ কুমারের পা স্পর্শ করে ক্ষমা চাইব।"
এ তো গেল মদ বিক্রি বিরোধিতার কথা। পিকে আরও একবার জোরের সঙ্গে দাবি করেছেন, বিহারকে লালু-নীতীশের 'বাইনারি' থেকে মুক্ত করবেন তিনি। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন তাঁর দল জন সুরজের সদস্য। তাঁর ঘোষণা, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ২৪৩ আসনের সবকটিতেই লড়বে তাঁর দল।