সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদান শুধু সময় ও একটি শর্তের অপেক্ষা। কী সেই শর্ত? কংগ্রেস ছাড়া অন্য সব দলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে পিকেকে।
গত কয়েক দিনে সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা-সহ কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে ভোটকুশলী পিকের। ২০২৪ ও আসন্ন অন্যান্য রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল এবং আগামী দিনে কোন পথে চলা উচিত দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলকে, তা নিয়ে হয় আলোচনা। দফায় দফায় কংগ্রেস হাইকমান্ডকে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন পিকে (Prasant Kishor), যার জন্য ব্যবহার হয়েছে প্রায় ছ’শো স্লাইড। এই বৈঠকগুলিতে পিকের কাছে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও ব্যাখ্যা চেয়েছেন অনেক নেতা। কংগ্রেসের একটি অংশ বারবার বলে এসেছে, যেহেতু সাম্প্রতিক অতীতে অনেক দলের সঙ্গে কাজ করেছেন পিকে, সেক্ষেত্রে তাঁকে ভরসা করে দলে নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগেরই মত, পিকে যে প্রস্তাব ও পরিকল্পনাগুলি দিয়েছেন, সেগুলি বেশ ভাল ও যুক্তিপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: দম্পতি পরিচয়ে রাত্রিবাস! তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ পরকীয়ায় মত্ত যুগল]
কিন্তু তাঁকে কতটা বিশ্বাস করা উচিত? শুক্রবার প্রকাশ্যে এই প্রসঙ্গে বক্তব্যও রেখেছেন দিগ্বিজয় সিং, কমলনাথের মতো গান্ধী ঘনিষ্ঠরা। দিগ্বিজয় সিংয়ের বক্তব্য, “ওঁকে এই দল থেকে ওই দলে যাতায়াত করতে দেখেই সবাই অভ্যস্ত, যা আমাদের দলের সঙ্গে খাপ খায় না। তবে এটাও ঠিক, উনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন।” কমলনাথ বলেন, “কে এল, কে গেল, তাতে কংগ্রেসের কিছু যায় আসে না। বিশেষত, মধ্যপ্রদেশে।”
কংগ্রেসের একটি মহলের দাবি, দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) তৈরি করা কমিটি ইতিমধ্যেই নিজেদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেসশাসিত দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ভূপেশ বাঘেল, মুকুল ওয়াসনিক, কেসি বেণুগোপাল, অম্বিকা সোনি ও রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাদের কমিটি পিকেকে দলে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও অন্য দলের সঙ্গ ত্যাগেরও উল্লেখ করেছেন বলেই খবর। শোনা যাচ্ছে, শনিবারই হয়তো পিকের সঙ্গে ফের বসতে পারেন সোনিয়া। সেখানে তাঁকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিতে পারেন সোনিয়া।
শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসে যোগদানের আগে অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন পিকে। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, নতুন ইনিংস শুরুর আগে শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে দেখা করার জন্যই এই পরিকল্পনা। যদিও একটি মহলের মতে, এখন থেকেই এই নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জোট প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করে দিচ্ছেন তিনি। কংগ্রেসের আরেকটি সূত্রের দাবি অনুযায়ী, দলে যোগ দিতে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও পদ চাননি পিকে। তবে তাঁর শর্ত অবাধে কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে ও গান্ধীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন শর্ত, দাবির জট কাটিয়ে কবে ও কীভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন পিকে। সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।