shono
Advertisement

গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর পরেও রেফার, প্রাণ গেল প্রসূতির, কাঠগড়ায় রাজ্যের ২ সরকারি হাসপাতাল

প্রসূতির করোনা-সহ একাধিক অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। The post গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর পরেও রেফার, প্রাণ গেল প্রসূতির, কাঠগড়ায় রাজ্যের ২ সরকারি হাসপাতাল appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 07:47 PM Sep 13, 2020Updated: 08:01 PM Sep 13, 2020

অভিরূপ দাস: সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছিলেন মা। চিকিৎসার জন্য আরজিকর থেকে চলে আসতে হয় কোভিড হাসপাতাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। টানা দশদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালানোর পর সন্তান-সহ মৃত্যু হল বছর একুশের ওই প্রসূতির। এ ঘটনায় কাঠগড়ায় দুই সরকারি হাসপাতাল। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, গর্ভস্থ সন্তানকে সঠিক সময় বের করে আনলে অন্তত মাকে বাঁচানো যেত। একুশ বছরেই চলে যেতে হতো না জলজ্যান্ত একটা প্রাণকে।

Advertisement

নিহত তরুণী বছর ২১ এর মৌসুমী রায়। তিনি দমদমের বাসিন্দা। অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) মৌসুমী প্রসব বেদনা নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে ভরতি হয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী অস্ত্রোপচারের আগে কোভিড টেস্ট করে নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেইমতো ৫ তারিখ কোভিড টেস্ট করলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। স্থায়ী কোভিড হাসপাতাল না হওয়ায় রোগীকে সত্ত্বর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয়। ৯ সেপ্টেম্বর রোগীকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। ততদিনে মারা গিয়েছে পেটের শিশুটি। সাধারণত জঠরে শিশুর মৃত্যু হলে ‘ইনডাকশন পদ্ধতি’তে তাকে বের করে আনাই নিয়ম। এই পদ্ধতিতে ইঞ্জেকশন দিলে যোনিপথ দিয়েই মৃত শিশু বেরিয়ে আসে। সেভাবেই মৃত বাচ্চাটিকে বের করে আনা হয় কলকাতা মেডিক্যালে।

এদিকে তরুণীর শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতি হতে থাকে। কমতে থাকে অক্সিজেনের মাত্রা। রবিবার সকালে মৃত্যু একুশ বছরের ওই তরুণীর। গোটা ঘটনায় তাঁর পরিবার দুই হাসপাতালের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে। তরুণীর পরিবারের দাবি, “আরজিকর থেকে আমাদের বলা হয়েছিল মা কোভিড পজিটিভ। এই সময় বাচ্চার ডেলিভারি করা হলে সেও করোনা আক্রান্ত হতে পারে। আমরা বারবার বলেছিলাম বাচ্চা না বাঁচলেও দয়া করে মাকে বাঁচিয়ে দিন। কিন্তু ওরা চিকিৎসা না করে মেরে ফেলল।”

[আরও পড়ুন: পরীক্ষার আগে তছনছ সার্ভার রুম, বালিগঞ্জের বিএড কলেজে চুরির ঘটনায় অন্তর্ঘাতের আঁচ]

হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনার সঙ্গে সঙ্গে জন্ডিস বাসা বেঁধেছিল তরুণীর শরীরে। একাধিক অঙ্গ কাজ করছিল না তাঁর। প্রশ্ন উঠছে কেন গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীকে রেফার করে দিল আরজিকর?  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “আরজিকর নন কোভিড হাসপাতাল। তবে আইসোলেশন ওয়ার্ড আছে। রয়েছে একটি আইসোলেশন অপারেশন থিয়েটার। গুরুতর অসুস্থ কোনও রোগীকে আরজিকরের এই আইসোলেশন অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচার করানোই দস্তুর। এই তরুণীর ক্ষেত্রে কেন সেটা হল না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তরুণী যখন এখানে আসে ততক্ষণে মারা গিয়েছে জঠরের সন্তান। মায়ের পেটে মৃত সন্তানকে সাধারণ সিজার করে বের করা যায় না। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এই মন্তব্যে সহমত পোষণ করেছেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রুনা বল। তাঁর কথায়, “মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী মৃত বাচ্চাকে বের করার জন্য একটি ইঞ্জেকশন দিতে হয়। মৃত বাচ্চা প্রসব বা ‘স্টিলবার্থ’ অত্যন্ত মামুলি অপারেশন। মেডিক্যাল সেই কাজটাই করেছে।” কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষর বক্তব্য, “মৃত বাচ্চা পেটে থাকার জন্য মায়ের মৃত্যু হয়নি। এর চেয়েও অনেক বেশিদিন মৃত বাচ্চা পেটে থাকার ভুড়ি ভুড়ি উদাহারণ রয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘আসামির জন্য কংগ্রেসের পথে নামা লজ্জার!’ রিয়ার পক্ষে মিছিল নিয়ে অধীরকে তোপ দিলীপের]

The post গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর পরেও রেফার, প্রাণ গেল প্রসূতির, কাঠগড়ায় রাজ্যের ২ সরকারি হাসপাতাল appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement