সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হোন, দেশের সেনাবাহিনীকে বার্তা দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। শুধু প্রস্তুতিই নয়, যুদ্ধে গিয়ে যেন জিতে ফিরে আসতে পারে সেনাবাহিনী, এমনই মানসিকতা নিয়ে তৈরি হতে নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। তাঁর মতে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিনের জাতীয় সুরক্ষা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। তাই সমস্ত রকম পরিস্থিতিতে তৈরি থাকা ও মোকাবিলা করার উপরে জোর দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার চিনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক দপ্তরে গিয়ে এই বার্তা দিয়েছেন জিনপিং। বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “দেশের সেনার এখন একটাই লক্ষ্য, যুদ্ধের জন্য তৈরি হওয়া। যুদ্ধে গিয়ে লড়াই করে যেন জিতে ফিরে আসা যায়, এমনভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রয়োজন পড়লে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে লালফৌজকে।” চিনের জাতীয় মিডিয়ার তরফে জিনপিংয়ের এই বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিস্ময়ের নাম দুবাই! এবার পৃথিবীর বৃহত্তম বাসভবন তৈরি হবে আরব দেশে]
বেশ কিছুদিন ধরেই তাইওয়ানের (Taiwan) সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করছে চিন। তাইওয়ান প্রণালী ঘিরে সামরিক মহড়া চালিয়েছে লালফৌজ। মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতায় আঘাত হানার অভিযোগ এনেছিল চিন। জিনপিং যদি তাইওয়ানে আক্রমণ করেন, তাহলে সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সেই কথা মাথায় রেখেই দেশের সেনাকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হয়েছেন জিনপিং। তিনি বলেছেন, আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বমানের সেনাবাহিনী গড়ে তুলবে চিন। দক্ষতা ও শক্তিতে মার্কিন সেনার সমকক্ষ হয়ে উঠবে লালফৌজ। দেশের প্রেসিডেন্ট, কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান ও সর্বোচ্চ সেনানায়ক-চিনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ একসঙ্গে সামলাচ্ছেন জিনপিং। সেই জন্য বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ক্রমশ একনায়কতান্ত্রিক শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে চিন। সেই জন্যই রাষ্ট্রশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগোতে চাইছেন জিনপিং।