সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাবি পূরণ হয়নি এখনও। সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতিও মেলেনি সেভাবে। দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমে একাধিক বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে মামলা, কারও শোকজ, কেউ বা পুলিশের দমনপীড়ন নীতির শিকার হয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি কিছুতেই। এবার তাই ডিএ (DA)আন্দোলনকারীরা এবার দিল্লির বুকে বড় কর্মসূচিতে নামছেন। ৬ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই দিল্লিতে শুরু হচ্ছে আন্দোলনের আরেক ধাপ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। সেইমতো আবেদনও জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতিও তাঁদের সময় দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে তাঁদের গলায় শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর।
এ বিষয়ে আন্দোলনের মূল উদ্যোক্তা যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান, ”১০ বা ১১ তারিখের মধ্যে রাষ্ট্রপতি আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন, সময় দেবেন। সেই বৈঠকে থাকবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। আমরা আশা করছি, বৈঠক থেকে ইতিবাচক কিছু পাব।” উল্লেখ্য,১১ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ আন্দোলনের শুনানি রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ঘরের শোকেসে ১২ ফুটের কিং কোবরা! শিউরে ওঠার মতো ঘটনায় আতঙ্ক নাগরাকাটায়]
এর আগে গত ২১ মার্চ সুুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ডিএ নিয়ে মামলা পিছিয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তার শুনানি হচ্ছে। সেই নভেম্বরে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের হলেও এপর্যন্ত মাত্র একদিন এই মামলার শুনানি হয়েছিল। প্রথম শুনানিতেই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। ফলে মামলায় নতুন বেঞ্চ গঠন করতে হয়। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীকে নিয়ে নতুন করে বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তী: অশান্তি এড়াতে রাজ্যে মোতায়েন ৩ কোম্পানি CRPF, মিছিল নিয়েও জারি কড়া নিয়ম]
কিন্তু বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ও গত মঙ্গলবারের শুনানির আগে এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। ফলে ফের নতুন বেঞ্চ গঠন করতে হয়। এবারে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারকে নিয়ে বেঞ্চ গঠন হয়। মঙ্গলবার সেই বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও বিচারপতিরা জানান এই মামলার শুনানি প্রক্রিয়া দীর্ঘ হবে। আর মঙ্গলবার মামলার চাপ রয়েছে। এত দীর্ঘ শুনানি সম্ভব হবে না। তাই মামলায় নতুন করে ১১ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত হতাশ ধর্মতলার ধরনারত সরকারি কর্মীরা। তবে যতদিন ডিএ (DA) নিয়ে কোনও আশ্বাস না মিলছে, ততদিন অনশনের দাবিতে অনড় তারা। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ওই অংশের বক্তব্য, ডিএ তাঁদের ন্যায্য অধিকার। তাই সেটা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আর দিল্লির দরবারেই যে সমাধানসূত্র বেরবে, সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তাঁরা।