সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রযুক্তি খাতের কিছু স্পর্শকাতর ক্ষেত্রে মার্কিন কোম্পানিগুলোর চিনে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মূলত কম্পিউটার চিপ নির্মাণের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। প্রযুক্তির অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য সরকারকে আগে থেকে জানাতে হবে।
ওয়াকিবহাল মহল জানাচ্ছে, এই নিষেধাজ্ঞা বহুল প্রতীক্ষিত ছিল। এই নির্বাহী আদেশের বলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী প্রযুক্তিবিষয়ক তিনটি খাতে চিনে মার্কিন বিনিয়োগ নিষিদ্ধ ও সীমিত করতে পারবেন। সেই খাতগুলো হলো সেমিকন্ডাক্টর, মাইক্রোইলেকট্রনিকস, কোয়ান্টাম ইনফরমেশন টেকনোলজিস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। মার্কিন প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, এই সীমাবদ্ধতা মূলত উল্লিখিত তিনটি উপখাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে তারা কিছু বলেনি। এ বিষয়ে অবশ্য মানুষ মতামত দিতে পারবে।
[আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধের মেঘ নাইজারে, নাগরিকদের দ্রুত দেশ ছাড়ার নির্দেশ ভারতের]
চিন যেন মার্কিন প্রযুক্তি ও এআই ব্যবহার করে সেনা বাহিনীর আধুনিকীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে না পারে, সে লক্ষ্যে এমন নিষেধাজ্ঞা। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, চিন যেভাবে মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমৃদ্ধ হচ্ছে, সেটা তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বেসরকারি ইক্যুইটি বিনিয়োগ, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, যৌথ উদ্যোগ ও নতুন বিনিয়োগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের আওতায় থাকবে।
বাইডেন বলেছেন, চিনের মতো দেশের উন্নতির কারণে যে হুমকি সৃষ্টি হয়েছে, তা মোকাবিলায় জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে স্পর্শকাতর প্রযুক্তি এবং সামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা তৎপরতা, নজরদারি ও সাইবার সক্ষমতার ক্ষেত্রে এই জাতীয় জরুরি অবস্থা প্রযোজ্য হবে। এদিকে, চিন বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আদেশে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার তাদের আছে। চিনের বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এই আদেশ সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও উদ্যোক্তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে, সেই সঙ্গে চিনের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যব্যবস্থা ব্যহত হবে।