সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে পা বাড়িয়েছে আমেরিকা। এবার শুধুমাত্র মার্কিন সংস্থাগুলির কাছ থেকেই ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী কেনার নির্দেশ দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মর্মে ‘বাই আমেরিকান’ নামে ‘এগজিকিউটিভ অর্ডার’-এ সই করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: চিনের সাহায্যে আণবিক বোমা পেতে চলেছে সৌদি আরব! নজর রাখছে উদ্বিগ্ন আমেরিকা]
গতবার নির্বাচনী দৌড়ে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান দিয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও তাঁর কার্যকালে মার্কিন নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বেশ কিছু। এহেন পরিস্থিতিতে এক ঢিলে দুই পাখি মেরে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছেন ট্রাম্প বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, এই ‘এগজিকিউটিভ অর্ডার’-এ সই করে দু’টি কাজ একসঙ্গে করেছেন ট্রাম্প। প্রথমটি হল, চিনকে জব্দ করা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, চিকিৎসাক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার দিশায় পা বাড়ানো। উল্লেখ্য, চিন থেকে বিপুল পরিমাণের চিকিৎসা সামগ্রী (Active pharmaceutical ingredients) কেনে আমেরিকা ও ভারতের মতো দেশগুলি। বলতে গেলে চিকিৎসা সামগ্রী রপ্তানির ক্ষেত্রে একাধিপত্য রয়েছে চিনের। তাই নয়া নির্দেশিকা চিনকে নিশানায় নিয়েই যে তৈরি করেছে হোয়াইট হাউস তা বলাই বাহুল্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার প্রকোপ রুখতে ভেন্টিলেটর-সহ বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা সামগ্রী চিনের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে আমেরিকাকে। কূটনীতিকদের মতে, সংঘাতের আবহে সেই নির্ভরতা কমিয়ে স্বনির্ভর হতে চাইছে হোয়াইট হাউস। এদিকে, নয়া মার্কিন নির্দেশের ফলে নতুন সুযোগ দেখছে ভারত। কারণ, আমেরিকায় Active pharmaceutical ingredients তৈরি হলে সেখানে থেকেই ওই সামগ্রীগুলি আমদানি করবে নয়াদিল্লি। ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে চিনের উপর নির্ভরতা কমাতে পারবে দেশ। এছাড়া, ভারত আমেরিকায় মূলত রপ্তানি করে ওষুধ ও স্বল্প মূল্যের চিকিৎসা সামগ্রী। ২০১৯ সালেও আমেরিকায় প্রায় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ভারত, যা এই ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে রফতানির নিরিখে তৄতীয় স্থানে। ওয়াশিংটনের ‘বাই আমেরিকান’ নীতি এই ওষুধ ও কম দামি চিকিৎসা সামগ্রীর ক্ষেত্রে লাগু হবে না বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: আরও কোণঠাসা চিন, এবার টিকটকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারি ট্রাম্পের!]
The post চিনকে জোর ধাক্কা, মার্কিন সংস্থা থেকেই চিকিৎসা সামগ্রী কেনার নির্দেশ ট্রাম্পের appeared first on Sangbad Pratidin.