সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় মর্মাহত চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (China President)। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট। কীভাবে আচমকা ভেঙে পড়ল সুরক্ষিত বোয়িং ৭৩৭ বিমান, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর।
এদিকে এদিনের দুর্ঘটনাগ্রস্তদের প্রতি চায়না ইস্টার্ন বিমান সংস্থার ওয়েবসাইট সাদা-কালো করে দেওয়া হয়েছে। বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িংকে ঘিরেও উঠছিল প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে বোয়িং সংস্থা জানিয়েছে, এক্ষেত্রে নতুন জেনারেশন বোয়িং ম্যাক্স জেট ব্যবহার করা হয়নি। কারণ, মালয়েশিয়া, ইথিওপিয়ায় একাধিকবার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল বোয়িং ম্যাক্স জেট। এবার তাই ২০১৯ সালে নয়া জেনারেশনে এই বোয়িংগুলি ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে খুন, পরে মৃতদেহের সঙ্গে ফের যৌনাচার! নৃশংসতার সাক্ষী বাংলাদেশ]
সোমবার কানমিং থেকে গুয়াংঝাউ আসছিল ৭৩৭ বোয়িং বিমানটি। সেই সময় গুয়াংঝি প্রদেশে আচমকাই একটি পাহাড়ের উপর ভেঙে পড়ে সেটি। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনও অজানা। চিনের প্রশাসনের তরফেও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, উদ্ধারকার্য চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। তবে যাত্রীদের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ।
এদিকে বিমানটি ভেঙে পড়তেই পাহাড়ে ভয়াবহ আগুন ধরে যায়। টুইটারে ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া ৭৩৭ বোয়িং বিমানটি ছয় বছরের পুরনো। এদিন দ্য চায়না ইস্টার্স সংস্থার বিমানটি বেলা ১টা ১০ মিনিট নাগাদ কানমিং থেকে রওনা দিয়েছিল। ৩টে ৫ মিনিট নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু দুপুর ২টো ২২মিনিটের পর থেকে বিমানটির গতিবিধি আর ট্র্যাক করা যায়নি।