দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনার (Coronavirus) কোপে সদ্যই বাতিল হয়েছে সিবিএসই দ্বাদশ ও আইএসসি পরীক্ষা। আর এবার পিছিয়ে গেল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক সংসদের যৌথ সাংবাদিক বৈঠক। কবে আবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এদিকে সূত্রের খবর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিটিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক সংসদের শীর্ষ আধিকারিক, মনোবিদ, শিশুদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে পারে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার কথা।
আগামী ১ জুন থেকে মাধ্যমিক (Madhyamik Exam) এবং ১৫ জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary Exam) পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিছুদিন আগে করোনার ধাক্কায় দুটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। কঠোরভাবে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুটি পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী পর্ষদ ও সংসদের হাতেই ছেড়েছেন। সংসদ ইতিমধ্যে বাতিল করেছে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। সরাসরি দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে পড়ুয়াদের। ২৭ মে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে উচ্চ মাধ্যমিক এবং আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে মাধ্যমিক (Madhyamik Exam)। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব ছিল, পূর্ণমান অর্ধেক করে তিন ঘন্টার জায়গায় পরীক্ষা হোক দেড় ঘন্টার। এই প্রস্তাব নিয়েই তৈরি হয় জটিলতা। প্রচলিত নিয়মে মাধ্যমিকের লিখিত পরীক্ষা হয় ৯০ নম্বরের। প্রজেক্ট করতে হয় ১০ নম্বরের। প্রজেক্টের নম্বর স্কুলগুলি ইতিমধ্যেই পর্ষদে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় ৯০-এর মধ্যে ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে, নাকি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ৯০ মিনিটে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নিয়ে দোটানায় পড়েন পর্ষদ কর্তারা।
[আরও পড়ুন: কলাইকুন্ডার বৈঠক ছাড়ার আগে অনুমতি নেননি মমতা! মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পালটা কেন্দ্রের]
অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয় ৭০ নম্বরের। ৩০ নম্বরের হয় প্র্যাকটিক্যাল। কলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা লিখিত পরীক্ষা দেয় ৮০ নম্বরের। কুড়ি নম্বরের প্রজেক্ট। বাণিজ্য শাখাতেও লিখিত পরীক্ষা হয় ৮০। প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দ ২০ নম্বর। উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের প্র্যাকটিক্যাল এবং প্রজেক্টের নম্বরও সংসদে জমা পড়ে গিয়েছে। সংসদের কর্তারা ঠিক করতে পারছিলেন না কত নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস জানিয়েছেন, “বুধবার আমরা যৌথভাবে সব ঘোষণা করব।” তবে বুধবার সকালেই জানা যায় যৌথ সাংবাদিক বৈঠক স্থগিতের কথা। সিবিএসই (CBSE) দ্বাদশ ও আইএসসি (ISC) পরীক্ষা বাতিল হওয়ার কারণেই কি এই সিদ্ধান্ত, উঠছে প্রশ্ন।