সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজার হাজার পাকিস্তানী ভিখারিতে ভরে যাচ্ছে সৌদি আরব। হজযাত্রার নামে আরবে ঢুকছে এই সব ভিখারির দল। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ সৌদি এবার কড়া চিঠি পাঠাল পাকিস্তানকে। জানানো হয়েছে, তীর্থযাত্রীর নামে ভিখারি পাঠানোর এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করুক পাকিস্তান। নাহলে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে তারা।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে এই সংক্রান্ত এক রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, সৌদির হজ মন্ত্রকের তরফে পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, উমরাহ ভিসাকে হাতিয়ার করে ভিখারি পাঠানো বন্ধ করুক পাকিস্তান। নাহলে আগামী দিনে পাকিস্তানের নাগরিকরা সৌদিতে হজ করতে যেতে সমস্যার মুখে পড়বেন। সূত্রের খবর, সৌদির চিঠির পর ভিখারি সমস্যা সামাল দিতে দেশে আইন আনার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পাকিস্তান। সাধারণত পাকিস্তানের একাধিক পর্যটন সংস্থা সেখানকার নাগরিকদের উমরাহ করতে পাঠায়। এবার তাদের সরাসরি আইনের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।
হজে ভিখারি সমস্যা রুখতে চলতি বছরের মে মাসে ফতোয়া জারি করেছিল সৌদি আরব। যেখানে বলা হয় অনুমোদন ছাড়া তাঁদের দেশে হজে আসতে দেওয়া হবে না। বেআইনিভাবে যদি কেউ আসেন তাহলে তাঁকে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। এবং বেআইনিভাবে কেউ প্রবেশ করলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর এক আন্তর্জাতিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, বিদেশে যত ভিখারি গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাকিস্তানের নাগরিক। শুধু তাই নয়, মক্কার মসজিদ চত্বরে যত পকেটমার ধরা পড়েন তাঁদের অধিকাংশই পাকিস্তানের। বছরের পর বছর ধরে চলছে এই সমস্যা। পাকিস্তানও স্বীকার করে নিয়েছে এই বিষয়ে অসংখ্য অভিযোগ তাদের কাছেও এসেছে। এর আগে পাকিস্তানে সৌদির রাষ্ট্রদূত নওয়াফ বিন সৈয়দ আহমেদ আল-মালকির সঙ্গে এ নিয়ে একদফা বৈঠকও হয় পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী মহসিন নকভির। যেখানে পাকিস্তান সৌদিকে আশ্বস্ত করে এই ভিখারি পাঠানো মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে তারা। যদিও আজও ভিখারি সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।