সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালে (Nepal) চরমে রাজনৈতিক ডামাডোল। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির দুই প্রধান– কে পি শর্মা ওলি ও পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডের সংঘাতে ভাঙনের মুখে দল। এহেন সময়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঠমান্ডুতে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে চিন (China)। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির চার সদস্যের ওই দল আগামী রবিবার কাঠমান্ডু পৌঁছবে। তারপর চারদিন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আলোচনা চালাবেন চিনা প্রতিনিধিরা।
[আরও পড়ুন: বড়দিনের অনুষ্ঠান চলাকালীন গির্জায় বোকো হারাম জঙ্গিদের হামলা, নাইজেরিয়ায় মৃত ১১]
সূত্রের খবর, প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নাম নিজেই বলে দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তা আচমকা এহেন সিদ্ধান্ত নিলেন কেন শি? সম্প্রতি নেপালে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত হউ ইয়ানকি প্রেসিডেন্ট শি’র কাছে এক বার্তায় সাফ জানিয়েছেন, নেপালের শাসকদলের মধ্যে চলা লড়াই থামানো তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কানাঘুষোয় শোনা যায়, নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির উপর সুন্দরী চিনা রাষ্ট্রদূতের প্রভাব যথেষ্ট। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সীমা বিবাদ থেকে শুরু করে সংসদ ভঙ্গ করার মতো একাধিক বিষয় নিয়ে প্রচণ্ড ও ওলির বিবাদ মেটাতে কিছুতেই সক্ষম হচ্ছেন না তিনি। বিশ্লেষকদের, মতে লিপুলেখ সীমান্ত বিবাদ নিয়ে ভারতের কড়া মনোভাব ও সম্প্রতি সেনাপ্রধান নারাভানের নেপাল সফর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা দিল্লির পক্ষে মোড় নিয়েছে। আর তাই রীতিমতো চিন্তিত প্রেসিডেন্ট শি। ফলে এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছেন তিনি। হিমালয়ের দেশটিতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত-চিন কূটনৈতিক সংঘাত যে চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছেছে তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ওলির সুপারিশ মেনে নেপালের জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি। ঘোষণা করেন পরবর্তী নির্বাচনের দিনও। একতরফাভাবে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া নিয়ে রীতিমতো অসস্তুষ্ট ওলির দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। ওলি মনে করেন, তাঁর দলে এখন অন্তর্কলহ চরমে উঠেছে। যে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও আনা সম্ভব হবে না। তবে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়াকে ‘সাংবিধানিক আঘাত’ হিসেবে দেখছেন ওলির বিরোধীরা। নেপাল প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এহেন পরিস্থিতিত সোমবার ওলি জানিয়েছেন, দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে।