সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন কমলা হ্যারিস (Kamala Haris)। আর তাই রবিবার সকালে খুশিমনে ঘুম ভেঙেছে তামিলনাড়ুর (Tamil nadu) থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামের বাসিন্দাদের! আসলে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে তাঁদের গ্রামের মেয়ে তাঁদেরও ভরিয়ে দিয়েছেন গৌরবে। তাই থিরুভারুর জেলার থুলাসেন্দ্রাপুরম গ্রামের মেয়েরা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ে মেতেছেন সেই জয় উদযাপনে। বাড়ির সামনে আঁকতে বসেছেন রঙ্গোলি।
ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে প্রথম বক্তৃতায় কমলা উল্লেখ করেছেন তাঁর মা শ্যামলা গোপালনের কথা, যিনি ছিলেন থিরুভারুর জেলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘‘যখন আমার মা মাত্র ১৯ বছর বয়সে এই দেশে এসেছিলেন, তিনি কল্পনাও করতে পারেননি এমন কোনও মুহূর্ত। কিন্তু তিনি গভীরভাবে এমন এক আমেরিকায় বিশ্বাস রেখেছিলেন, যেখানে এই ধরনের মুহূর্ত তৈরি হতেই পারে।’’ কমলাকে এই গ্রামের মেয়ে বলেই মনে করেন এখানকার বাসিন্দারা। এর আগেও কমলার সমর্থনে পোস্টার, ব্যানার হাতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের।
[আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসে ‘ওল্ড জো’, মার্কিন গদি বদলে খুব কি লাভবান হবে ভারত?]
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার কমলার জয় কামনা করে তামিলনাড়ুর থিরুভারুর জেলার আরেক গ্রাম পাইগানাডুর বাসিন্দাদের পুজো করতে দেখা গিয়েছিল। কমলা হ্যারিসের দাদু পিভি গোপালন ছিলেন তামিলনাড়ুর এই গ্রামের বাসিন্দা। সেই সূত্র ধরে বেশ কয়েকবার দক্ষিণ ভারতের এই গ্রামে এসেছিলেন কমলা হ্যারিসও। পরে অবশ্য তাঁর দাদু এই গ্রাম ছেড়ে চলে যান। তবু মন্দির ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ অটুট। মন্দিরে নিয়মিত অনুদান দেন তাঁরা। ২০১৪ সালেও কমলা হ্যারিসের নামে মন্দিরে অনুদান দেওয়া হয়েছিল।
আমেরিকায় নতুন এক ইতিহাসের সৃষ্টি করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ৫৬ বছরের সেনেটর কমলা। মার্কিন রাজনীতিতে নজির গড়ে এই প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বসলেন কোনও কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা। ভারতীয় সময় শনিবার রাতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর টুইট করে কমলা হ্যারিস জানিয়ে দেন, ‘এটা আমার বা জো বিডেনের নয়, আমেরিকার আত্মা ও আমাদের লড়াই করার মানসিকতার জয়। এখন আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। এবার সেগুলো শুরু করা যাক।’