সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মতলায় আন্দোলন মঞ্চ থেকে ধরনা তুলছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯-এর প্রাইমারির পরীক্ষার্থীরা। সোমবারই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেন রাজ্য়ের শাসকদল তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ইতিবাচক আলোচনার পরই ধর্মতলা থেকে ধরনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। তবে নিয়োগপত্র না পাওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডিপিএস অফিসের সামনে তাঁদের অবস্থান চলবেই।
পূর্বতন বাম সরকারের আমলে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teachers) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। পরীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসে সেই নিয়োগ বাতিল করে। ২০১৪ সালে নতুন করে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। প্রত্যন্ত জেলাগুলির নিয়োগ হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিয়োগ আটকে যায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেলই প্রকাশিত হয়নি। ১৩ বছর ধরে নিয়োগের আশায় বসে রয়েছেন তাঁরা। শেষে আদালতের অনুমতি নিয়ে গত ৩৭ দিন ধরে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের ভূত ধরতে চায়, প্রধান বিচারপতিকে আবেদন কলকাতার ‘ঘোস্ট বাস্টার’ সংস্থার]
সোমবার আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে আন্দোলনকারীদের। তাঁদের কথায়, “এতদিন আমরা অথৈ জলে পড়েছিলাম। মহামান্য হাই কোর্ট ও সরকার আমাদের কথা শুনেছে।” আগামী বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে তাঁদের মামলার রায়দান। আর সরকারের তরফে জানানো হয়েছে আদালতের রায় দিলেই সরকার কাজ শুরু করবে। এক বছরের কাজ এক সপ্তাহের মধ্যে করা হবে বলে আশ্বাস মিলেছে। কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকে খুশি চাকরিজীবীরা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ধর্মতলা থেকে ধরনা প্রত্যাহার করা হলেও আন্দোলন চলবে। নিয়োগপত্র না পাওয়া পর্যন্ত জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সামনে আন্দোলন চালাবেন তাঁরা।