সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর ব্রিটেনের বাসিন্দা নন প্রিন্স হ্যারি। তিনি এখন আমেরিকায় বসবাসকারী। মার্কিন মুলুককেই নিজের নতুন নিবাসস্থল বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনটাই দাবি সংবাদমাধ্যমের। প্রায় চার বছর আগে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে যান ডিউক অব সাসেক্স। সরে যান তাঁর স্ত্রী ডাচেস মেগান মর্কেল। এবার ব্রিটেনের কোম্পানি হাউসে জমা পড়া এক নথি থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
কী বলা হয়েছে সেই নথিতে? রাজা চার্লসের কনিষ্ঠ পুত্র তাঁর বসবাসের স্থান পরিবর্তন করার জন্য কিছু কাগজপত্র দায়ের করেছিলেন। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা হ্যারির (Prince Harry) সেই নথিতে 'বসবাসকারীদের নতুন দেশ/ প্রদেশ' অংশে লেখা রয়েছে, 'আমেরিকা'। এর আগে যা ব্রিটেন ছিল। তবে এই নথি একেবারে সাম্প্রতিক নয়। সেখানে তারিখ হিসেবে লেখা হয়েছে ২৯ জুন, ২০২৩।
[আরও পড়ুন: বিজেপির পক্ষে বেশি ভোট! ইভিএমের ‘কারচুপি’ খতিয়ে দেখতে কমিশনকে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ]
প্রসঙ্গত, হ্যারি এবং মেগান ২০১৮ সালে বিয়ের পর ফ্রগমোর কটেজে থাকতেন। ২০২০ সালে তাঁদের রাজপরিবার সংক্রান্ত দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর তাঁরা ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান। বলে রাখা ভালো, রাজপরিবারের উইন্ডসর এস্টেটের প্রাসাদ থেকে কার্যত উচ্ছেদ করা হয় প্রিন্স হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেলকে। এই ঘটনার জেরে ব্রিটেনে আর কোনও বাড়িই হাতে থাকেনি এই রাজপরিবারের সদস্যের।
ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ত্যাগের বিষয়ে এর আগে প্রিন্স হ্যারিকে বলতে শোনা গিয়েছিল,''এই মুহূর্তে আমার বাড়ি আমেরিকায়।'' সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, বাস্তবেও তিনি সেটাই অনুভব করেন। তাঁকে সেখানেস্বাগত জানানো হয়েছিল বলেও জানান যুবরাজ।