শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: SAT পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে দুই পরীক্ষার্থীকে আলাদাভাবে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ফেসবুক লাইভ করে গোটা বিষয়টা প্রকাশ্যে আনলেন এক অধ্যাপক। ঘটনাটি ঘটেছে ফরাক্কার সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজে।
রবিবার SAT-এর সিট পড়েছিল ফরাক্কা সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজে। প্রথমার্ধের পরীক্ষা শেষে কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সৃজয় মণ্ডল ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানে দেখা যায়, কলেজের একটি বন্ধ ঘরে দু’জন পরীক্ষার্থী বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন। এডুকেশনের শিক্ষক হুমায়ুন রেজা ‘গার্ড’ হিসেবে তালাবন্দি ঘরে তাঁদের পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিচ্ছেন। ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে সৃজয়বাবু চিৎকার করে বলছেন, “এটা তুমি করতে পারো না হুমায়ুন। এই ঘরে আলাদা করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে কেন?” সেই সময় ঘর থেকে অভিযুক্ত ছাত্রদেরকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
[আরও পড়ুন: ভিলেন ঘন কুয়াশা, দেখতে না পেয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত আরপিএফ কর্মী]
ওই শিক্ষকের অভিযোগ, কলেজে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সিট পড়লে অধ্যক্ষ শিবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থের বিনিময়ে প্রত্যেক বছর বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীদের অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে থাকেন। তিনি আরও বলেন, “আজ পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় চল্লিশ মিনিট পর ক্যান্টিনে যাই। গিয়ে দেখি পাশে এম এ বিভাগের খাতা ও বই রাখার গোডাউন ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ। দুজন ছাত্র পরীক্ষা দিচ্ছেন। তখনই আমি ফেসবুকে লাইভ করি। আমার ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।” যদিও এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ শিবাশীষ বন্দোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে ফরাক্কা কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি রামকৃষ্ণ সিং চুন্নু বলেন, “এধরনের ঘটনার খবর আমি পেয়েছি। পরীক্ষার সময় কলেজে উপস্থিত বিশেষ পর্যবেক্ষক ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অন্যায়ভাবে যদি কাউকে পরীক্ষা দিতে সাহায্য করা হয়ে থাকে তা প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”