গোবিন্দ রায়: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশকে ডেডলাইন বেঁধে দিল হাই কার্ট। সোমবার রাতের মধ্যেই গ্রেপ্তার করতে হবে প্রধান শিক্ষক-সহ এফআইআরে নাম থাকা সমস্ত অভিযুক্তকে। আপাতত স্কুলে ঢুকতে পারবেন না অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। তবে অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কড়া ভাষায় জানিয়ে দিল হাই কোর্ট। একইসঙ্গে বিচারপতি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর প্রশ্ন, পঞ্চায়েত সদস্যরা কবে থেকে শিক্ষাব্যবস্থা এতো উৎসাহী হয়ে পড়লেন?
শনিবার নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে হানা দেয় ৫০-৬০ জনের একটি দল। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, স্কুলের টির্চাস রুমে ঢুকে শিক্ষক শিক্ষিকারদের মারধর করা হচ্ছে। ভাঙা হয়েছে মোবাইল। মেঝেয় ছড়িয়ে কাগজপত্র। শিক্ষিকাদের কাঁদতেও দেখা গিয়েছে। স্কুলের ভিতরে কার্যত আটকে পড়েন তাঁরা। শেষপর্যন্ত নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[আরও পড়ুন: বজরংবলীর পতাকা নামানো নিয়ে উত্তেজনা, ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে ‘হিন্দু বিরোধী’ তোপ বিজেপির]
প্রধান শিক্ষকের মদতে এই মারধরের ঘটনা বলে অভিযোগ জানান আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যদিও প্রধান শিক্ষক ঘটনার কথা অস্বীকার করেন। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তার পরদিনই গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত। যদিও এফআইআরে নাম নেই তাঁদের। আবার এফআইআরে নাম থাকা কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হয়। সেই মামলাতেই আদালত অবিলম্বে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।