সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ইকুয়েডরের (Ecuador) জেলে রক্তারক্তি কাণ্ড। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের (Riot) জেরে অন্তত ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। গুয়াকিল শহরের লিটোরাল পেনিটেনশিয়ারি জেলে শুক্রবার রাত থেকেই অশান্তি শুরু হয়। সংশোধানাগারের (Jail) ভিতরেই ব্লেড, বিস্ফোরক, বন্দুক নিয়ে বন্দিদের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ায়। একে একে ৬৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। সংশোধনাগারের এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন মৃত বন্দিদের পরিবার। প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি বছর ইকুয়েডরের জেলগুলিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই তো মাস খানেক আগের ঘটনা। লিটোরাল পেনিটেনশিয়ারি জেল সেপ্টেম্বরেও এমনই এক নৃশংস কাণ্ডের সাক্ষী ছিল। সেবারও দুই গ্যাংয়ের সংঘর্ষে প্রাণহানি হয়েছিল প্রায় ১০০ জনের। বলা হচ্ছিল, এই ঘটনা ইকুয়েডরের সংশোধনাগারের হিংসার ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ অধ্যায়। সেবার এক দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আরেক গোষ্ঠী ক্ষিপ্ত হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ।
[আরও পড়ুন: কূটনীতির প্যাঁচে চিনকে মাত দেওয়ার কৌশল, বেজিংয়ের রাষ্ট্রদূত বদলাচ্ছে ভারত]
আসলে দক্ষিণ আমেরিকায় মেক্সিকোর (Mexico) সিনালোয়া এবং জালিস্কো – এই দুই কুখ্যাত পাচারকারী দলের মধ্যে সংঘর্ষ সর্বজনবিদিত। মাদক পাচারে কে কাকে টেক্কা দেবে, তা নিয়ে নিরন্তর প্রতিযোগিতা চলে। মেক্সিকোর বাইরে ইকুয়েডর, পেরু, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়ার মতো দেশগুলিতে অন্ধকার জগতের এই গ্যাংয়ের বেশ প্রভাব রয়েছে। এই লিটোরাল পেনিটেনশিয়ারি সংশোধনাগারে দুই গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য বন্দি। আর তাদের মধ্যেই বারবার সংঘর্ষ বাঁধে। সেপ্টেম্বরের ঘটনা এত ভয়াবহ আকার নিয়েছিল যে বাড়তি সেনা মোতায়েন করতে হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: চিনে সন্ধান মিলল ১৮ রকমের ভয়ংকর ভাইরাসের, ডেকে আনতে পারে অতিমারী!]
শুক্রবার জেলে সংঘর্ষের ঘটনার পর শনিবার থেকে সেখানকার ভিডিও ভাইরাল হয়ে ওঠে। এক বন্দির অভিভাবক জানান, ”আমি অনলাইনে ছেলের মৃতদেহ দেখতে পেলাম।” তাঁরই মতো অনেক অসহায় পরিবারই জেলের বাইরে ভিড় করেছেন। সকলে নিজেদের বন্দি সন্তানদের খবর চাইছেন। কারণ, জেলের তরফে হতাহতের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এই জেলে ৫,৩০০ জন বন্দির জায়গা থাকলেও প্রায় ৮,৫০০ জন এই মুহূর্তে বন্দি লিটোরাল পেনিটেনশিয়ারি জেলে।