শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ‘স্বাস্থ্যসাথী’র (Swasthyasathi)কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন দুর্ঘটনায় আহত যুবক। কিন্তু ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের সুবিধায় চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়ে রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল আসানসোলের (Asansol) কুলটির বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অভিজিৎ সরকার নামে দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুবককে নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ, তিনি ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড নিয়ে গেলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, বেড নেই। কিন্তু প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ওই রোগী বাধ্য হন টাকা জমা দিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়ে চিকিৎসা করাতে।
রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, পথ দুর্ঘটনার শিকার অভিজিৎকে আহত অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড দেখানো হয়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড দেখেই বেড নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। উজ্জ্বল মজুমদার নামে ওই রোগীর আত্মীয় বলেন, এরপর টাকা জোগাড় হলে হাসপাতালে টাকা জমা দেওয়া হয়। তখন তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু হয়ে যায়। মীনু বাউরি নামে এক মহিলা অভিযোগ তোলেন, তাঁর ছেলেকেও ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি। টাকাপয়সা জোগাড়ের পর ভরতি নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ২ বছর ধরে সামাজিক বয়কট, আদিবাসীদের অভিযোগ পেয়েই আসরে বীরভূমের ‘দাবাং’ SP নগেন্দ্র ত্রিপাঠী]
বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ পেয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যান কুলটির তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। অভিযোগ দুর্ব্যবহার করা হয় রোগী পরিবার, তৃণমূল নেতৃত্ব ও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। কুলটি ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ”আমরা হাসপাতালে যেতেই লক্ষ্য করি, শুধু অভিজিৎ সরকার নন, অনেক রোগী একই সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে রয়েছেন। ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড নিয়ে আসা রোগীদের চূড়ান্ত হয়রানি করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের বিনিময়ে কেন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না?” সদুত্তর না মেলায় ওই বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান কুলটি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: মেঝেতে পড়ে স্বামী, বিছানায় স্ত্রীর দেহ, পুরুলিয়ায় বন্ধ ফ্ল্যাটে বৃদ্ধ দম্পতির রহস্যমৃত্যু]
এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, ”হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে অভিযোগ জানিয়েছি।” জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী মাঝির আশ্বাস, ”তদন্ত শুরু হয়েছে। হয়রানির শিকার হওয়া রোগীর পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ চেয়ে পাঠিয়েছি। সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছি। দু’পক্ষের কথা শোনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”