সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদিগড় গুজরাটের মাটিতে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রীকে কড়া সুরে আক্রমণ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi)। ভোট প্রচারে গিয়ে ভাই রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) 'শাহজাদা' বলে দফায় দফায় আক্রমণ শানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তারই পালটা শনিবার গুজরাটের (Gujarat) বনশকাঁটায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'উনি আমার ভাইকে শাহজাদা বলেন, অথচ নিজে শাহেনশার মতো মহলে বসে থাকেন।'
মোদিকে কটাক্ষের পাশাপাশি ভাই রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'শাহেনশা যখন মহলে বসে রয়েছেন তখন এই শাহজাদা কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ৪ হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটেছেন। মা- বোনেদের সঙ্গে দেখা করেছেন, কৃষক-শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করে জানতে চেয়েছেন তাঁদের সমস্যা কোথায়? অন্যদিকে মোদিকে দেখুন, একেবারে বাবু সেজে বসে রয়েছেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক, এমনকী ওনার মাথার একটি চুলও এদিক থেকে ওদিক হওয়ার জো নেই। উনি আপনাদের সমস্যা কীভাব বুঝবেন?'
[আরও পড়ুন: শরীরে লুকনো ২৫ কেজি সোনা! মুম্বই বিমানবন্দরে আটক আফগান রাষ্ট্রদূত]
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে একাধিকবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করে নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে নাকী গরিবের সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের দিয়ে দেবে। ছাড় পাবে না মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্রও। এই ইস্যুতেই মোদিকে পালটা তোপ দেগে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'নির্বাচন হচ্ছে এই দেশে অথচ উনি কথা বলছেন পাকিস্তান নিয়ে। আপনাদের বলা হচ্ছে, কংগ্রেস এমন একটি এক্স-রে মেশিন আনতে চলেছে, যার মাধ্যমে আপনাদের সোনা চুরি করে নেওয়া হবে। আপনি দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী এত অযৌক্তিকর কথা আপনি কীভাবে বলতে পারেন!' একই সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা যোগ করেন, 'মিথ্যা কথা বলতে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জুড়ি মেলা ভার, এখন দেখছি ফালতু কথা বলতেও ওনার জুড়ি নেই। উনি বলছেন, আপনার কাছে দুটো মহিষ থাকলে একটি কংগ্রেস নিয়ে নেবে। আপনারা বলুন, ৫৫ বছর ধরে আমাদের সরকার কখনও আপনাদের কোনও জিনিস কেড়ে নিয়েছে? আমিও সেই এক্স-রে মেশিন দেখতে চাই যার মাধ্যমে মঙ্গলসূত্র চুরি করা যায়।'
[আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্তে রাজভবনের ওসির কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার]
একইসঙ্গে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'বিজেপি আমাদের বদনাম করে অথচ নিজেরা বিশ্বের সব চেয়ে ধনী দল হয়ে বসেছে। ৬০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে নিজেদের দপ্তর তৈরি করেছে। কোভিড সার্টিফিকেটে নিজের ছবি সেটে প্রচার চালিয়েছেন। যে সংস্থাকে টিকা তৈরির লাইসেন্স দিয়েছিলেন তার থেকে বিপুল টাকা চাঁদা নিয়েছেন। আজ সেই সংস্থার তৈরি টিকায় ভয়ংকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।'