সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ইজরায়েল যেন শান্তির পথে হাঁটে’। রাষ্ট্রসংঘে এই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থাকল ভারত। কেন্দ্রের এই অবস্থানে ‘হতবাক’ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হলেন তিনি। কংগ্রেস নেত্রী বলেন, প্যালেস্টাইনের হাজার হাজার পুরুষ, নারী ও শিশুকে হত্যা করে হচ্ছে। ভারতের এই অবস্থান কার্যত বিশ্বশান্তির বিরোধী।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্টাইনের (Palestine) জঙ্গি সংগঠন হামাস। গাজা স্ট্রিপে জবাবি হামলা চালায় ইজরায়েল (Israel)। ইতিমধ্যে দুপক্ষের সংঘর্ষে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া অসংখ্য মানুষ। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে বিশ্ব বাজারেও। এই আবহে রাষ্ট্রসংঘে জর্ডন একটি খসড়া শান্তি প্রস্তাব পেশ করে। সেখানে বলা হয়, ‘ইজরায়েল যেন শান্তির পথে হাঁটে।’ যদিও এই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থাকে ভারত-সহ ৪৩টি দেশ। পরে কানাডার তরফে অতিরিক্ত খসড়ায় উল্লেখ করা হয়, ‘হামাসেরও নিন্দা জানানো হোক।’ কানাডার এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ভারত। যা নিয়ে সরব হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
আরও পড়ুন: পাতায় পাতায় বিপুল লেনদেনের হিসাব! আর কী রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র নাম লেখা ‘মেরুন ডায়েরি’তে?]
মহাত্মা গান্ধীর বিখ্যাত উক্তি-একটি চোখের বদলে অন্য চোখ খুবলে নেওয়া হলে গোটা বিশ্ব অন্ধ হয়ে যাবে, উল্লেখ করেন কংগ্রেস নেত্রী। সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমি হতবাক, গাজায় সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকল ভারত। আমাদের দেশ শান্তি এবং সত্যের নীতিতে গঠিত হয়েছিল।” আরও জানান, “দেশের সংবিধানও এই নীতির ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি।” তাঁর মতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই নীতি দ্বারাই চালিত হয়েছিল ভারত। লেখেন, “কোনও অবস্থান না নিয়ে চুপ করে থাকা আমাদের দেশের নীতি বিরুদ্ধ।”
[আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ, লুঠ, ডাকাতিতে মুসলিমরাই এক নম্বর’, সংখ্যালঘু নেতার মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক]
নিজের বক্তব্যে প্যালেস্টাইনের ভয়ংকর পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন প্রিয়াঙ্কা। লেখেন, “ওষুধ, খাবার, বিদ্যুৎ নেই। সেই দেশকে ধ্বংস করা হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ, শিশু ও মহিলারা বিপদে। আমরা এত বছর ধরে এমন মানুষের পাশেই দাঁড়িয়েছি।” পাশাপাশি ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে ভারতের অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ করেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার (Sharad Powar)। তিনি বলেন, ‘সরকার বিভ্রান্ত।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এককথা বলছেন আর বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আরেক কথা বলা হচ্ছে।