শুভঙ্কর পাত্র: আকাশে, বাতাসে আগমনীর সুর। শরতের দোলায় দুলছে কাশবন। 'আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির'। পুজোর বাকি মাত্র সাতদিন। কলকাতার মতো বার্লিনের আকাশও যেন পেঁজা তুলোর মতো মেঘে ঢেকেছে। বাঙালি এবং দুর্গাপুজো, এক অটুট বন্ধন, যা বাংলা তথা সারা বিশ্বে লক্ষণীয়। জার্মানির রাজধানী বার্লিন শহরের বুকে বার্লিন ইগ্নাইট ই.ভির পুজোও(Probashe Durga Puja 2024) সেজে উঠছে একই সুরে।
বিদেশের অনেক পুজো সাধারাণত সপ্তাহের ছুটিতেই হয়। কারণ ছুটি পাওয়া যায় না। তবে বার্লিনের এই পুজো প্রথম থেকেই বাংলার পঞ্জিকা মেনেই হয়। চতুর্থ বার্ষিক পুজোতেও সেই ধারা অব্যাহত। প্রতিটি নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন হয় এখানে। কুমারী পুজো থেকে চণ্ডীপাঠ, সন্ধিপুজো থেকে মায়ের দর্পণ বিসর্জন, সিঁদুর খেলা কিছুই বাদ যায় না।
প্রতিবছর প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে শুরুর দিকে কুমোরটুলি থেকে নিয়ে যাওয়া প্রতিমায় পুজো হচ্ছে এখন।
সংগঠনের প্রায় ১১৪ জন সদস্য অফিস ও অন্যান্য কাজ সামলে পুজো প্রস্তুতি সারেন। আয়োজনে তাঁরাই। মণ্ডপ তৈরি থেকে সাজসজ্জা সবটাই সদস্যদের হাতের ছোঁয়ায় শিল্পের রূপ পায়।শ্রী গণেশ হিন্দু মন্দিরে প্রতিবছর পুজো হয়। এবছর ইগ্ননাইটের এই পুজোর থিম 'শক্তি'। এখন চলছে আয়োজনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
চলছে এই বছরের প্রস্তুতি।
পুজোর সঙ্গে চারদিনই হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।নাটক যার প্রধান আর্কষণ। এবারের মঞ্চস্থ হতে চলা নাটকের নাম 'শক্তিরূপেণ সংস্থিতা'।
এছাড়াও চারদিনই ভোগ বিতরণ হয়। জার্মানির রাজধানীর শহরের এই পুজো শুধু বাঙালির মধ্যে আটকে নেই।অন্য প্রবাসী ভারতীয়তো বটেই জার্মানরাও যোগ দেন। বিদেশের মাটিতে বাঙালির সংস্কৃতি তুলে ধরার মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই পুজো। ইগ্নাইটের বার্তা "হোক সত্যের জয়। মায়ের আশীর্বাদে ফিরুক বিশ্বে শান্তি।"