সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি পাইলটের অসাবধানতা? নিছক দুর্ঘটনা নাকি ষড়যন্ত্র করে হত্যা? দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের (CDS Bipin Rawat) কপ্টার দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে নানা মুনির নানা মত। জোরদার তদন্তও চালাচ্ছে সেনাবাহিনীও। সূত্রের খবর, সেই তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চালক অসতর্ক হয়ে মেঘের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। তার জেরেই বিপত্তি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার (Helicopter Crash) তদন্ত এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। বুধবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে তদন্তে উঠে আসা বিষয়গুলি জানায় তদন্তকারী দল। রিপোর্ট বলছে, কোনও প্রযুক্তিগত কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেনি। বরং কপ্টার একটি রেল লাইনকে অবলম্বন করে এগিয়ে যেতে গিয়ে নিচু স্তর দিয়ে উড়তে থাকে। আর তার জেরেই বিপত্তি। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও সরকারি বক্তব্য উঠে আসেনি।
[আরও পড়ুন:বোতলে বাতকর্ম বিক্রি করে মোটা টাকা উপার্জন! তরুণীর পরিণতি কী হল জানেন?]
তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতীয় সেনার এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিং। বহু বছর তিনি হেলিকপ্টার পাইলট হিসাবে সেনায় রয়েছেন। আর এমন ধরনের দুর্ঘটনার তদন্তে এদেশে তাঁর জুরি মেলা ভার বলে মনে করেন অনেকেই। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মেঘের মধ্যে হেলিকপ্টার ঢুকে পড়াতেই বিপদ বেড়ে যায় । যদিও হেলিকপ্টার নিয়ন্ত্রণে যোগ্য ব্যক্তিরা ছিলেন, তবুও পরিস্থিতিগত কিছু অসতর্কতার পরিণামেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
গত ৮ ডিসেম্বরের কপ্টার দুর্ঘটনায় সিডিএস বিপিন রাওয়াতের মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতও মারা যান। একই সঙ্গে মারা যান ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডর,লেফ্টনেন্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং। কপ্টার দুর্ঘটনার তদন্তকারী অফিসাররা এই ঘটনা ঘিরে যাবতীয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। এই ঘটনায় কোনও গাফিলতি জড়িয়ে রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তে। অত্যাধুনিক নিরাপত্তাবলয়ে থাকা সিডিএস কপ্টার কীভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তামিলনাড়ুর কুন্নুরের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রায় এক মাস কাটতে চলল।