ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মঙ্গলবার রাতে মুহূর্তের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে হলং বাংলো। কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ড, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহলে চলছে চর্চা। দুর্ঘটনা নাকি অন্তর্ঘাত? তা নিয়ে কানাঘুষো চলছে। এই পরিস্থিতিতে সত্য উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গড়লেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলেও যেতে পারে তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে থাকা কাঠের এই বাংলোটিতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা বাংলো। কীভাবে আগুন লাগলো? ঠিক কী ঘটেছিল ওই রাতে? তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। কমিটিতে রয়েছেন মুখ্য বনপাল, ডিএফও, ওই বাংলো এলাকার ফরেস্ট রেঞ্জার-সহ বেশ কয়েকজন। এদিন দুপুরে সল্টলেকে বনবিভাগের দপ্তরে বৈঠকে বসবে এই কমিটি। প্রয়োজনে আগামিকালই ঘটনাস্থলে যাবেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: পর পর ডাকাতির পরও নেই হেলদোল, কলকাতার স্বর্ণ বিপণির সিসিটিভির আওতায় নেই দরজাই!]
এবিষয়ে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, "গোটা ঘটনায় অনেকেই হলং বাংলোর কর্মীদের উপর দায় চাপাচ্ছেন। কিন্তু আমি ওদের পাশে আছি। যাঁরা ওদের বিরুদ্ধে যাবে আমি তাঁদের বিপক্ষে যাব।" তবে এই অগ্নিকাণ্ডকে ঘিরে কয়েকটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলবারও দিনভর চলেছে বৃষ্টি। এদিকে ঠিক যে সময় আগুন দেখতে পান কর্মীরা সেই সময় লোডশেডিং ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে লোডশেডিংয়ে শর্ট শার্কিট হল কীভাবে? বৃষ্টির মাঝে ওই বিরাট বাংলো পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া নিয়েও দানা বাঁধছে রহস্য। এই ঘটনা দুর্ঘটনা নাকি অন্তর্ঘাত, তা নিয়ে সন্দিহান তদন্ত কমিটি। তবে শীঘ্রই গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।