সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৮ বছরের মেয়ের গলা কেটে আত্মহত্যা বাবার। ভয়াবহ এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে হরিয়ানার (Haryana) হিসার এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি পেশায় অধ্যাপক, নাম সন্দীপ গোয়েল(৩৫)। হিসারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের অফিসেই সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করেন তিনি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিয়ানা পুলিশ (Police)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন বলে স্কুটারে চেপে রওনা দিয়েছিলেন অধ্যাপক সন্দীপ। তবে দীর্ঘক্ষন স্বামী ও মেয়ে ঘরে না ফেরায় খোঁজ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই সন্দীপের অফিসে যান তাঁর স্ত্রী। অফিস ঘরের মধ্যেই স্বামী ও মেয়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ নজরে পড়ে তাঁর।
[আরও পড়ুন: ১৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্যে বৈঠক! শূন্যপদে নিয়োগ দুই নির্বাচন কমিশনারকে]
পুলিশের জেরায় সন্দীপের স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামীর খোঁজে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎসা এবং রেডিওলজি বিভাগের সামনে সন্দীপের স্কুটার দেখতে পান তিনি। সন্দীপের অফিসের সামনে গেলে দেখা যায় দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এই অবস্থায় সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীকে খবর দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় গোটা ঘর রক্তাক্ত। মেঝেয় পড়ে রয়েছে মেয়ে ও স্বামী।
মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দুজনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেয় ফরেনসিক টিমও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে সার্জিকাল ব্লেড দিয়ে মেয়েকে খুন করেন বাবা। এর পর সেই একই ব্লেড দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেন সন্দীপ। ঘটনার তদন্তে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি সন্দীপের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল তা জানার চেষ্টা করছে হরিয়ানা পুলিশ।