shono
Advertisement

‘চাকরি না পেলে বারে ডান্স করতে’, অধ্যাপিকাদের কটূক্তি অধ্যক্ষর, পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন

অভিযোগ অস্বীকার জলপাইগুড়ির কলেজের অধ্যক্ষর।
Posted: 06:13 PM Jun 15, 2022Updated: 06:13 PM Jun 15, 2022

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: চাকরি না পেলে বারে গিয়ে ডান্স করতে হত! কলেজের অধ্যাপিকাদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ। প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হলেন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। অভিযোগ, অধ্যক্ষ শালীনতার সীমা অতিক্রম করে মাঝে-মাঝেই অপমানজনক ব্যবহার করে থাকেন। প্রতিবাদ করলেও অধ্যক্ষ নিজেকে পরিবর্তন না করায় এবার তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব হলেন অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকারের দাবি,সবটাই মিথ্যা এবং সাজানো। যারা কলেজের অনুশাসন মানেন না তারাই এই ধরনের অভিযোগ করছেন।

Advertisement

জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজের পরিচালন সমিতির দায়িত্বে ছিলেন কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। সম্প্রতি তিনি মারা যান। তার পরে নতুন করে পরিচালন সমিতির দায়িত্বে কেউ না আসায় এই সুযোগে অধ্যক্ষ নিজের ইচ্ছেমতোন কলেজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। অধ্যাপিকাদের ঘরে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কেনও সিসিটিভি বসানো হয়েছে তা জানতে চাওয়া হলে অধ্যক্ষ হুমকি দেন, এরপর বাথরুমে ক্যামেরা বসানো হবে, এমনই দাবি এক অধ্যাপিকার। অভিযোগ, রীতিমতো তালিবানি কায়দায় কলেজ চালাচ্ছেন অধ্যক্ষ। যাকে তাঁকে প্রকাশ্যে যা ইচ্ছে তাই বলে অপমান করছেন। বাধ্য হয়ে অধ্যক্ষর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: মিলবে না সারচার্জ, ব্যস্ত সময় পার হলেই বুকিং নিচ্ছেন না চালকরা, ক্যাবের নতুন অসুখে দুর্ভোগ]

অধ্যাপিকা মৌমিতা সেনগুপ্ত বলেন, “এমনভাবে হুমকি দেন যেন অধ্যক্ষ চাকরি দিয়েছেন, তিনিই সব। কাউকে মানেন না। ‘চাকরি না পেলে বারে ডান্স করতে হত’, এই বলে অপমান করা হচ্ছে। মহিলাদের অনেক সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে তারপরেও আমাদের ঘরে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মানসিক অত্যাচার চলছে তাই এই অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে একজোট হয়েছি আমরা।” অধ্যাপক পিনাকি চট্টোপাধ্যায় বলেন,” বহিগতদের সামনে ডেকে অপমান ও মানসিক অত্যাচার করা হয় আমাকে। আমি খুবই মানসিক সমস্যায় রয়েছি। আমার কিছু হলে দায়ী থাকবেন অধ্যক্ষ।” আরও এক অধ্যাপক সব্যসাচী বসু বলেন,”একরকমভাবে কলেজ চলতে পারে না। আমরা এই অধ্যক্ষের পদত্যাগ চাইছি।”

অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার বলেন,”কেন অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা অভিযোগ করছেন জানা নেই। তবে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে সবটাই মিথ্যে। অভিযোগের প্রমাণ দেখাতে পারলে আমি নিজেই পদ থেকে সরে যাব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে অনেকে চলবেন না, এই কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: প্রাইমারি TET দুর্নীতি: এবার হাই কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত করবে সিবিআইয়ের SIT]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement