সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি। ছাত্রজীবন থেকেই বাম রাজনীতিতে। পরবর্তীতে যাদবপুরের মতো ঐতিহ্যবাহী আসন থেকে সাংসদ ও বিধায়ক হয়েছেন। এবারও লোকসভার লড়াইয়ে বামেদের হয়ে লড়ছেন সুজন চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই দমদম আসনের বামপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন তিনি। চলুন দেখে নেওয়া যাক কত সম্পত্তির মালিক সুজন চক্রবর্তী। কত সম্পত্তি রয়েছে সুজনজায়া মিলির?
হলফনামার তথ্য বলছে, মনোনয়নের দিন সুজন চক্রবর্তীর হাতে নগদ ছিল ৯ হাজার ৫০০ টাকা। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মোট দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কালিকাপুরের ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪৪ হাজার টাকা। এসবিআই-কলকাতা হাই কোর্ট এসপিবি ব্রাঞ্চে রয়েছে ১ লক্ষ ১০৩ টাকা। কোথাও কোনও বিনিয়োগ নেই। নেই গাড়ি, সোনাও। তবে কালিকাপুরেই চাষযোগ্য একটি জমি রয়েছে সুজন চক্রবর্তীর। যার মূল্য দেড় লক্ষ টাকা। একটি বাস্তু জমি রয়েছে সোনারপুরের কালিকাপুরেই। তার বাজারদর ১৬ লক্ষ টাকা। এছাড়া কালিকাপুরে একটি ৭০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট বা বাড়ি রয়েছে, যার দর ৯ লক্ষ টাকা। তরুণ বামপ্রার্থীদের সঙ্গে তুলনায় গেলে সুজনবাবুর সম্পত্তি একেবারেই নামমাত্র। তবে সুজনপত্নী মিলি চক্রবর্তীর সম্পত্তি নেহাত কম নয়।
[আরও পড়ুন: কুড়মি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলার হুঁশিয়ারি! পুরুলিয়া থেকে মমতার জেলযাত্রা ‘কামনা’ শুভেন্দুর]
স্থাবর ও অস্থাবর কত সম্পত্তির মালিক মিলি চক্রবর্তী? নথি বলছে, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মিলিদেবীর হাতে নগদ রয়েছে ৬ হাজার টাকা। এসবিআই-চম্পাহাটি ব্রাঞ্চে রয়েছে ৭১ হাজার ৩৫৭ টাকা। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক কালিকাপুরে রয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৭ টাকা। আরেকটি অ্যাকাউন্টে রয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক কালিকাপুর ব্রাঞ্চেই আরও একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যার ব্যালেন্স ৮ লক্ষ টাকা। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক টলিগঞ্জ ব্রাঞ্চে রয়েছে রয়েছে ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা। এছাড়া পোস্ট অফিসে জমানো অর্থ রয়েছে মিলিদেবীর। যার মোট অঙ্ক ৫১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা। এলআইসি রয়েছে ২৩ লক্ষ টাকা। সোনা রয়েছে ৭০ গ্রাম। যার বাজারদর ৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।