সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে ক্রমেই বাড়ছে সংখ্যালঘু নিপীড়ন। হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টানদের ধর্মস্থান ধ্বংস, হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা আকছার ঘটছে ইসলামিক দেশটিতে। এবার সে দেশে নিপীড়িত হিন্দুদের রক্ষা করার আবেদন জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দ্বারস্থ হয়েছে ব্রিটেনের একাধিক হিন্দু সংগঠন।
[আরও পড়ুন: বিডেনের শপথের দিন হামলার আশঙ্কা, ওয়াশিংটনের সুরক্ষায় ১০ হাজার সেনা]
পাকিস্তানে হিন্দু নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী জনসনকে একটি চিঠি দেয় ‘হিন্দু ফোরাম অফ ব্রিটেন’। এই ফোরামের ছত্রছায়ায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ হিন্দু সংগঠন। চিঠিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু নাগরিকরা খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। নানা অত্যাচার ও অবিচারের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। ক্রমে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে হিন্দুদের রক্ষা করতে দ্রুত ও কার্যকরী ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।” জনসনের কাছে হিন্দু সংগঠনগুলির আবেদন, অবিলম্বে একটি উচ্চপর্যায়ের সরকারি কমিটি তৈরি করা হোক। সেই কমিটি পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে তদন্ত করবে। রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক দেশগুলিকে নিয়ে একইভাবে তদন্তের দাবি তুলেছেন সংগঠনগুলির কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, যেভাবেই হোক গণহত্যা, অত্যাচার-অবিচার থেকে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে হবে। সংগঠনের সদস্যরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পাকিস্তানের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট করে কোনও নাম উল্লেখ না করলেও বরিস জনসনকে লেখা চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, জনমানসে হিন্দু বিদ্বেষ তৈরি করতে পাকিস্তানের কিছু প্রভাবশালী মানুষ সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। এর জেরে হিন্দুদের পাশাপাশি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও শিখরাও অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সিন্ধ ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা লাগাতার বাড়ছে। জোর করে নাবালিকাদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করছে ইসলামিক মৌলবাদীরা। গত ডিসেম্বর মাসে খাইবার পাখতুনখোয়ায় একটি হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলে ধর্মান্ধ মানুষরা। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। শেষমেশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সব মিলিয়ে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইমরান খানের প্রশাসন ব্যর্থ তা স্পষ্ট।