সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র আন্দোলন করছেন কৃষকরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শর্তসাপেক্ষ আলোচনার প্রস্তাব বাতিল করে দিল্লিতে ঢোকার পাঁচটি রাস্তা অবরোধও করেছেন। এর মাঝেই রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের সংযোগস্থলে অবস্থিত গাজিপুর-গাজিয়াবাদ সীমান্তে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লি শহরে ঢোকার চেষ্টা চালান বিক্ষোভকারীদের একাংশ। ফলে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের প্রচণ্ড ধস্তাধস্তিও হয়। এর ফলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় দেশজুড়ে। পরে উভয়পক্ষের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও সোমবার ভোর থেকে গাজিপুর সীমান্তে আরও পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে কংক্রিটের ব্যারিকেডও। এই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই দিল্লি ও হরিয়ানা মাঝে অবস্থিত টিকরি সীমান্তে সোমবার রাস্তার উপর বসেই গুরু নানকের ৫৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুজো করলেন কৃষকরা। শুধু তাই নয়, পুজোর পরে বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি ওই এলাকায় মোতায়েন নিরাপত্তারক্ষীদের হাতেও প্রসাদ তুলে দিলে পরম শ্রদ্ধায়।
রবিবার রাতে গাজিপুর-গাজিয়াবাদ সীমান্তে যখন কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষ চলছিল তখনই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে চলছিল জরুরি বৈঠক। যেখানে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
[আরও পড়ুন: OIC-তে কাশ্মীর কথা, ‘ভুল তথ্য’ পরিবেশন নিয়ে মুসলিম দেশের সংগঠনকে তোপ ভারতের]
ওই বৈঠকে কী আলোচনা হল তা এখনও পর্যন্ত সামনে না আসেনি। পরিবর্তন হয়নি সরকার বা বিক্ষোভকারীদের আচরণেও। উলটে সিংগু ও গাজিপুরের পাশাপাশি বাকি তিনটে সীমান্তেও প্রচুর নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। কৃষকরাও জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁদের দাবি মানা না হলে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে তাঁরা।