সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলা যত গড়াচ্ছে ততই ঝাঁজ বাড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে আসা আন্দোলনকারীরা। বেলা আড়াইটে নাগাদ নবান্নের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় একদল আন্দোলনকারী। নবান্ন থেকে তাঁদের দূরত্ব ছিল মাত্র ১০০ মিটার। যদিও মিনিট তিনেকের মধ্যেই তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মহিলা আন্দোলনকারীদের একটি দল প্রায় নবান্ন চত্বরে পৌঁছে গিয়েছে। তবে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরি উর্দিধারীরা।
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই গঙ্গার দুই পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। তারা নবান্নের দিকে এগোতেই মিছিল আটকে দেওয়া হয়। গার্ড রেল দিয়ে আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। ছোড়া হয় জলকামান, কাঁদানে গ্যাস। হাওড়া ব্রিজ, সাঁতরাগাছিতে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। তবু মাটি কামড়ে পড়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
[আরও পড়ুন: ১০০-র মধ্যে ৭৪ জন ধর্ষক শাস্তিই পায় না! ফের কঠোর আইনের দাবিতে সরব অভিষেক]
বেলা গড়াতেই খিদিরপুর, হেস্টিংস, রেড রোড, এম জি রোড দিয়ে মিছিল নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেয়। হেস্টিংস, রেড রোড এবং এম জি রোডে ধুন্ধুমার বেধে যায়। ফের জলকামান চালাতে শুরু করে পুলিশ। ছোড়া হচ্ছে কাঁদানে গ্যাসও। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সাঁতরাগাছি। মিছিল শুরু হয়েছে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটেও।
ওদিকে নবান্নের কাছে পৌঁছে যায় আন্দোলনকারীদের একাংশ। সেই সময় নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার শরৎ চ্যাটার্জি রোডে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। সেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। তার পরেও প্রতিবাদীদের দমানো যায়নি।