নন্দন দত্ত, বীরভূম: ফের অশান্তি বিশ্বভারতীতে। এবার রাতের অন্ধকারে ভাঙা হল উপাচার্যের বাড়ির সামনে ছাত্রদের আন্দোলনের মঞ্চ। নিরাপত্তারক্ষীরা মঞ্চ ভাঙতে এলে তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান পড়ুয়রা। মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হলেও নিজেদের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা। একই জায়গায় বসে রয়েছেন তাঁরা।
২২ দিন ধরে চরমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তি। পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, গত পাঁচ বছর ধরে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন উপাচার্য। যাকে খুশি তাকে সাসপেন্ড করা, শোকজ করা, বদলি করা, কোনও কর্মীর বেতন বন্ধ করে দেওয়া যেন রোজনামচায় পরিণত করেছেন। বাদ যাননি পড়ুয়ারাও। উপাচার্যের রোষের শিকার হয়েছেন তাঁরাও। কাউকে হস্টেল থেক বহিষ্কার, তো কাউকে সাসপেন্ড করে শিক্ষাঙ্গন থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তাঁর অফিসের সামনে যান পড়ুয়ারা। উপাচার্যের নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের দিকে কার্যত ধেয়ে আসেন। পড়ুয়ারাও তাঁদের দাবি জানাতে নাছোড়বান্দা। উপাচার্য নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের উপর ‘গুলি চালানো’রও নিদান দেন বলেই অভিযোগ। এরপর পড়ুয়া ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর আবেদনে সাড়া, সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর তদন্তভার নিল সিআইডি]
সেই ঘটনার পর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের বাসভবনের সামনে মঞ্চ করে আন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা। যার জেরে গৃহবন্দি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার উপাচার্য বাড়ি থেকে বেরনোর সময় তাঁকে বাধা দেন পড়ুয়ারা, এমনটাই অভিযোগ। ফেরার সময়ও অশান্তি হয়। সেই সময় পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর রাত প্রায় ৩ টে নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীরা ধরনা মঞ্চের কাছে যান বলে অভিযোগ। প্রথমে ভেঙে দেওয়া হয় আলো। এরপর অন্ধকারে খুলে দেওয়া হয় ধরনা মঞ্চ। সরিয়ে ফেলা হয় চেয়ার টেবিল। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান আন্দোলনকারীরা। ধরনা মঞ্চ সরালেও লাভ হবে না বলেই সাফ বার্তা আন্দোলনকারীদের। তাঁরা জানিয়েছেন, আন্দোলন চলবে।