সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস দুয়েক আগে শ্রীলঙ্কায় যে দৃশ্য দেখা গিয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল ইরাকে (Iraq)। সেদেশের রাজপথে নেমে এল কাতারে কাতারে মানুষ। বাগদাদে (Baghdad) প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের দখল নিল বিক্ষোভকারীরা। সুইমিং পুলে নেমে তাদের জলকেলির দৃশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছে কলম্বোর প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে সাধারণ মানুষের দখল নেওয়ার কথা।
সোমবার প্রভাবশালী শিয়া মুসলিম নেতা মুকতাদা আল-সদর রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তাঁর অনুগামীরা। তারপর থেকে ক্রমেই বেড়েছে উত্তেজনার আঁচ। সংবাদমাধ্যম এএফপির সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেনার গুলিতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৩ জন বিক্ষোভকারীর। আহত অন্তত ৩৮০ জন।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত প্ল্যানিং কমিশনের প্রাক্তন সদস্য অভিজিৎ সেন]
আল-সদরের ঘনিষ্ঠ এক মিলিশিয়া বাহিনী সারায়া সালামের সদস্যরা রাজপথে নেমে এলে তাদের সঙ্গে ইরাকের সেনার সংঘর্ষ বাঁধে। ক্রমে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা রাজপ্রাসাদের দেওয়াল পেরিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েছে। বিলাসবহুল প্রাসাদটি কার্যত তাদেরই দখলে চলে গিয়েছে। সুইমিং পুলে নেমে অনেককেই সাঁতার কাটতে দেখা যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভের সময়ও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের প্রাসাদের ভিতরে ঢুকে এভাবেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়িয়েছিল বিক্ষোভকারীরা।
বেশ কয়েক মাস ধরেই ইরাকে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। গত বছরের অক্টোবরে সেদেশের পার্লামেন্টের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল আল-সদরের দল। তবে এরপরও সরকার গড়তে পারেনি তারা। নানা রাজনৈতিক জটিলতার ফলে বছর ঘুরতে চললেও এখনও পর্যন্ত সেদেশে কোনও সরকার গঠিত হয়নি। ফলে অস্থিরতা বাড়ছিলই। যা নয়া আকার নেয় গতকাল, সোমবার। আল-সদরের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণার পরই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে বিক্ষোভকারীদের। বাগদাদ জুড়ে রণক্ষেত্রের চেহারা তৈরি হয়। স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ও রকেট ছুঁড়তে দেখা যায় প্রতিবাদীদের। বাগদাদের গ্রিন জোন, যেখানে সরকারি আমলা ও উচ্চ প্রশাসনিক স্তরের কর্মীরা থাকেন, সেখানে ঢুকে পড়ে তারা। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য ও ছবি।